বায়ার্ন মিউনিখের সামনে পড়লেই যেন সবকিছু ভেস্তে যায় বার্সেলোনার। লিওনেল মেসি যখন ছিলেন, তখনও বিধ্বস্ত হতে হয়েছে। আর্জেন্টাইন মহাতারকা ন্যু ক্যাম্পে সাবেক হয়ে গেছেন, বুন্দেসলিগা জায়ান্টদের বিপক্ষে লড়াইয়ে কাতালানদের সেই একই অবস্থা বহাল বা যেন আরও কঠিন হয়ে গেছে লা লিগা জায়ান্টদের।
মঙ্গলবার রাতেই যেমন, ঘরের মাঠে বায়ার্নের বিপক্ষে একদম পাত্তা পায়নি বার্সা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন মৌসুমে গ্রুপপর্বের দৌড় শুরু হয়ে গেল। প্রথম লেগে ন্যু ক্যাম্পে এসে ৩-০ গোলের জয় তুলে ফিরেছে বাভারিয়ানরা।
থমাস মুলারের একটি ও রবার্ট লেভান্ডোভস্কির জোড়া গোলে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে ফিরে গেছে বায়ার্ন। আর কাতালানদের কোচ রোনাল্ড কোম্যানের জন্য রেখে গেছে একরাশ মাথাব্যথার প্রসঙ্গ।
বার্সা কোচ অবশ্য আশা হারাচ্ছেন না। অপেক্ষা করছেন চোট কাটিয়ে তার গোল স্কোরাররা কবে ফিরবেন সেটির। নতুন রিক্রুট সার্জিও আগুয়েরো। পুরনো সৈনিক উসমানে ডেম্বেলে ও আনসু ফাতিকে চোটের কারণে খেলাতে পারেনি বার্সা।
হারের পর কোম্যান টানলেন সেটাই, ‘মাত্র তিনজন স্ট্রাইকার খেলানোর অবস্থায় ছিল।’
‘ম্যাচে কিছু মুহূর্ত ছিল, যেখানে সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বায়ার্ন ম্যাচের মাঝামাঝিতে। আমি খেলার ধরণ নিয়ে অভিযোগ করছি না, কিন্তু মানসম্মত খেলোয়াড়রা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’
জয়ী বায়ার্নকে যোগ্য কৃতিত্বটাও দিচ্ছেন কোম্যান, ‘বায়ার্ন এমন একটা দল, স্কোয়াডের খেলোয়াড়রা দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে আছে, এবং তাদের বেঞ্চও খুব শক্তিশালী।’
‘আমাদের অনেকেই তরুণ, তারা দুই বা তিন বছরের মধ্যে সেরা জায়গায় পোঁছে যাবে। হার মেনে নেয়া সবসময়ই কঠিন, কিন্তু আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, উন্নতির ও খেলোয়াড়দের চোট থেকে সেরে ওঠার।’
‘কয়েক সপ্তাহ আমাদের এভাবেই কাটাতে হবে। তারপর আমরা সার্জিও, ডেম্বেলে এবং ফাতিকে পাবো। স্কোয়াডে ১৯ বা ২০ বছর বয়সী খেলোয়াড় আছে। আমার ধৈর্য রাখতে হবে। আগামীতে শক্তিশালী দলের সাথে অবশ্যই পার্থক্য কমে আসবে।’ যোগ করেন কোম্যান।