সরকার সতর্কতার সঙ্গে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রোহিঙ্গা জনস্রোতের বিশাল বোঝা বহন করার ক্ষমতা আমাদের নেই। এখানে আরও অনেক সমস্যা আছে। এত মানুষ আসছে, নির্যাতিত মানুষের সঙ্গে মাদকের স্রোতও আসছে কি না এবং অস্ত্রের কোনো বিষয় যুক্ত হচ্ছে কি না- তা আমাদের জন্য আরও উদ্বেগের।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঈদুল আজহা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে সরকারের অবস্থান বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, সরকারের অবস্থানে অস্পষ্টতা নেই। বরং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। আমরা সতর্কতার সঙ্গে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি। তবে যেভাবে রোহিঙ্গাদের স্রোত আমাদের দেশে ছুটে আসছে, এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বক্তব্য রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। জাতিসংঘকে আমরা উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। সন্ত্রাস দমনের নামে নিরীহ রোহিঙ্গাদের প্রতি অত্যাচার-নিপীড়ন বন্ধ করার জন্য চারবার মিয়ানমারের প্রতিনিধিকে আমাদের ফরেন অফিস ডেকে পাঠিয়েছে। আমাদের জোরালো বক্তব্য আমরা উত্থাপন করেছি।
‘কাজেই আমাদের সরকারকে সব কিছু মাথায় রেখে কাজ করতে হচ্ছে। এছাড়া মিয়ানমারের নাগরিকদের যেন জাতিসংঘ অনতিবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে সে ব্যাপারে আমাদের দাবি অত্যন্ত জোরালো।’
নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক আচরণ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে কাদের বলেন, আমরা যদি অমানবিক হতাম, তবে এই দেড় লাখ তো আসার কথা ছিল না। আমরা পুশইনের প্রতিবাদ করছি। যারা চলে এসেছে আমরা তো তাদের পুশব্যাক করছি না। কিন্তু এই বিশাল বোঝা বয়ে বেড়ানোর ক্ষমতাও আমাদের নেই।