সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জাানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ এবং ব্যাংকিং খাত বিশেষজ্ঞরা। সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ একে অযৌক্তিক বললেও ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে আশাবাদী অধ্যাপক শিবলি রুবায়েত উল ইসলাম।
রোববার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, সব ধরনের সঞ্চয়পত্রে গড়ে দেড় শতাংশ সুদ কমানো হচ্ছে। আর পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রের সুদের হার দুই শতাংশ কমে ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ হবে।
সুদের হার কমানোতে সার্বিকভাবে এর কি প্রভাব পড়তে পারে?
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এটা মোটেও যুক্তিসংগত নয়। কারণ এখানে সঞ্চয় করে নির্ধারিত আয়ের লোকজন। যারা নানা ঝামেলার কারণে শেয়ার বাজারে যেতে চায় না।
তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অনাগ্রহী মানুষকে শেয়ার বাজারের দিকে ঠেলে দেওয়ার একটা ঝুঁকি থাকে। এতে করে সাধারণ জনগণই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলি রুবায়েত উল ইসলাম অবশ্য বলেন, সরকার সবসময়ই বাজেটের আগে এটা করতে চায়। বাজেটের অর্থ যোগানোর জন্যই তারা এটা করে। সাধারণ জনগণ যাতে বেশি সঞ্চয়পত্র না কেনে সে জন্যই এটা করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমাতে সহায়ক হবে।
তবে সাবেক গভর্নর হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলো সুদের হার কমাবে বলে মনে হয় না। কারণ তারা কখনোই তাদের লাভ কমাতে চায় না।
বিপরীতে শিবলি রুবায়েত চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘ব্যাংকে সুদ রেট বেশি থাকায় সেভিং ব্যয়ও বেশি। সুতরাং সেভিং ব্যয় কমে গেলে ব্যাংকগুলো কম সুদে ঋণ দিতে পারবে।’