চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সঙ্কটকালে প্রত্যাশিত সুখবর

করোনার এই সঙ্কটময় সময়ে দেশেই করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনে চীনের সিনোফার্মের সাথে চুক্তি করেছে সরকার। সিনোফার্মের সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেডের মধ্যে সোমবার এই চুক্তি হয়। এই চুক্তির ফলে চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড।

কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫২৬তম দিনে দেশে ১৭৪ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৩৪৯ জন, আর শনাক্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৮৬১ জন। এই যখন দেশের করোনার পরিস্থিতি, তখন দেশে করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনের এই চুক্তি একটি বড় সুখবর।

চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামি তিন মাসের মধ্যে দেশে সিনোফার্মের ভ্যাকসিন উৎপাদন সম্ভব। ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লি:এর প্রতিমাসে এক ভায়েলে ১০ ডোজ হল চার কোটি তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। তবে সরকারের যতটুকু দরকার সেই চাহিদামত করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে ইনসেপ্টা।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে চুক্তির মাধ্যমে দেশে প্রথমে করোনার ভ্যাকসিন এসেছিল। কিন্তু চুক্তির শর্ত না মেনে সেরাম হঠাৎ করে তা বন্ধ করে দিলে সমস্যায় পড়ে দেশের ভ্যাকসিন কর্মসূচি। কয়েক লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন থেকে এখনও বঞ্চিত। এই অবস্থায় বসে না থেকে বিকল্প সোর্সে ভ্যাকসিন সংগ্রহে মনোযোগী হয় সরকার। সাফল্যও আসতে থাকে দ্রুতই। বিশ্বের নামকরা প্রায় সব ভ্যাকসিনই এখন বাংলাদেশের ভ্যাকসিন ভাণ্ডারে এসেছে ও তা দেশের সব এলাকায় প্রদান করা হচ্ছে দ্রুত গতিতে।

করোনা মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত কার্যকর উপায় এই ভ্যাকসিন নিয়ে সারাবিশ্বের সব দেশই নানা কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ইতিমধ্যে অনেকটাই সফল, আর সেই সফলতার আরেক ধাপ এগিয়ে গেল ইনসেপ্টা ও সিনোফার্মের চুক্তির মাধ্যমে। সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনের এই প্রক্রিয়াকে আবারও সাধুবাদ জানাচ্ছি।

লকডাউন-শাটডাউনসহ নানা প্রক্রিয়ার ফলে দেশের মানুষের জনজীবন সারাবিশ্বের অনেক দেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত। নতুন করে আবারও কোন সঙ্কট তৈরি হলে হয়তো লকডাউনের মতো বিধি নিষেধ আবারও আসতে পারে। কিন্তু যদি ভ্যাকসিন কার্যক্রমের গতি বাড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করা যায়, তাহলে করোনা দ্রুতই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে আমাদের আশাবাদ।