কোলের শিশু সন্তান নিয়ে সংসদ কক্ষে থাকতে না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডেনমার্কের এমপি মেত্তে আবদিলগার্ড।
তিনি বলেছেন, শিশুর বাবা তার দেখাশোনা করতে না পারায় প্রথমবার পাঁচ মাস বয়সী শিশুকে নিয়ে তিনি সংসদে এসেছেন। কিন্তু স্পিকার সংসদ কক্ষে শিশুকে রাখার অনুমতি দেয়নি বলে বিবিসিকে তিনি জানিয়েছেন।
প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংসদ সদস্য ও কনসারভেটিভ পিপলস পার্টির গ্রুপ লিডার মেত্তে আবদিলগার্ড ফেসবুকে লিখেছেন, তিনি তার এক সহকর্মীকে শিশু নিয়ে যেতে দেখেছেন, তাই তিনি কোন অনুমতি নেননি।
তিনি বলেন, আমি একমত যে আমার সন্তান যদি ‘‘সামান্যতম আওয়াজ’’ করতো তাহলে আমি তাকে নিয়ে আসতাম না, কিন্ত সে ছিল ‘‘খুব শান্ত মেজাজে’’, তাই তাকে নিয়ে এসেছি।
কিন্তু স্পিকার তা পছন্দ করেননি। একজন সহকারী দিয়ে শিশুকে রেখে আসার জন্য মেত্তের কাছে খবর পাঠান। স্পিকার বলেন, শিশু নিয়ে এমপিরা সংসদে থাকতে পারবেন না।
পরে স্পিকারের মুখপাত্র গণমাধ্যমকে বলেন, স্পিকার শুধু তার দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মনে করেছেন, শিশু সংসদ অধিবেশনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
অবশ্য ক্ষোভ প্রকাশ করলেও মেত্তে আবদিলগার্ড কাজে যোগদান থেকে বিরত থাকেননি। তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের সেবা দিতেই’’ তিনি কাজে ফিরে এসেছেন।
এ নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন অনেকে। একজন লিখেছেন, সংসদ কক্ষ যেহেতু বাবা, মা, সন্তানকে প্রতিনিধিত্ব করে, তা সেটা বাবা, মা এবং সন্তানের জন্য উন্মুক্ত করা উচিত।
পিতৃত্বকালীন ছুটি দেয়া দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বে ডেনমার্ক অন্যতম। সেখানে নারীরা ১৮ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি পেয়ে থাকেন। আর স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরিজীবী হলে ৩২ সপ্তাহ ছুটি পেয়ে থাকেন। তারা সুবিধামতো এই ছুটি নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে পারবেন।
অবশ্য সংসদে বা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শিশু নিয়ে যাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। গত সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন জাতিসংঘে তার শিশু সন্তানকে নিয়ে উপস্থিত হন। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে শিশু নিয়ে উপস্থিত হওয়া প্রথম নারী তিনি।
গত বছর কানাডার মন্ত্রী কারিনা গোল্ড সংসদে শিশুকে বুকের দুধ পান করান। পরে এই ঘটনা ভাইরাল হয়।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়াও সংসদে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর অনুমতির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে।