বৈদেশিক মিশনে কর্মরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের আরও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। এখন থেকে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা স্ব স্ব মিশনের জন্য আগামী তিন বছরের কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে উপস্থাপন করবেন।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দু’জন নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের কর্মপরিকল্পনা পেশের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও রোমানিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো: দাউদ আলী তাদের কর্মপরিকল্পনা পেশ করেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে করোনাভাইরাসের সময় সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে প্রথমবারের মত দু’জন রাষ্ট্রদূত বিদেশে দায়িত্বপালনকালে দেশের জন্য ও প্রবাসী বাংলদেশিদের জন্য কি কাজ করবেন এবং কি ধরনের উদ্যোগ নিবেন তা উপস্থাপন করেন।’
তিনি বলেন, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রদূতদের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে। সংসদীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ রাষ্ট্রদূতগণকে দেশের ও জনগণের উন্নয়ন কিভাবে ত্বরান্বিত করা যায় সে বিষয়ে উপদেশ ও দিকনির্দেশনা দেন। রাষ্ট্রদূতের মত গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা কাজ করেন তাদেরকে এ ধরনের পরিকল্পনা ও জবাদিহিতার আওতায় আনার মাধ্যমে নতুন দিগন্ত খুলেছে বলে আমি মনে করি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা যাতে বিদেশে না খেয়ে থাকে সে জন্য অর্থ পাঠানো হয়েছে এবং দুস্থ প্রবাসীদের খাদ্য সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। প্রবাসী শ্রমিকরা চাকুরিচ্যুত হলেও যাতে কম পক্ষে ৬ মাসের বেতন ও অনুষঙ্গিক সুবিধা পায় সে জন্য দেনদরবার করা হচ্ছে। বিদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশি ও প্রবাসীদের সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য সাধারণ সরকারি ছুটির মধ্যেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খোলা হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশে এসেছিলেন বলে বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশে স্থিতিশীলতা এসেছে, বন্ধুর খুনী ও রাজাকারদের বিচার সম্ভব হয়েছে। এছাড়া গণতন্ত্র পূন:প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলম ছাড়াও সংসদ সদস্য মো: হাবিবে মিল্লাত, কাজী নাবিল আহমেদ এবং নাহিম রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।