রোববার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের পর নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল যখন ঘোষণা করতে যাচ্ছেন, ঠিক তখন রাজনৈতিক অঙ্গন আবারও ভাসছে সংলাপের আবহে। চলতি মাসের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের সঙ্গে সংলাপের পর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট বলছে, তারা আবারও সংলাপ চায়। তাহলে সংলাপ চলবে আর কতোদিন?
একইসঙ্গে জাতীয় নির্বাচন আগে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আরও সংলাপের প্রয়োজন দেখিয়ে নির্বাচনী তফসিল পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।
বৃহস্পতিবার ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল’ক (জেএসডি) নিয়ে গঠিত ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন শুক্রবার সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী’র নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ হয়।
আজ শনিবার কোন সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়নি। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন: ৩ নভেম্বর জাতির জন্য শোকের দিন। সেটা আরও বেশি করে আওয়ামী লীগের জন্য। শোকের এ দিনে আওয়ামী লীগ কোন সংলাপে বসবে না বলে নীতিগত সীদ্ধান্ত নিয়েছে।
রোববার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোটের অংশীদার ১৪ দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে আওয়ামী লীগ। পরদিন বর্তমান সংসদের বিরোধীদল সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টি’র সঙ্গে সংলাপ রয়েছে। এখন পর্যন্ত এটাই নির্ধারিত সংলাপ।
এছাড়াও সংলাপের ইচ্ছা প্রকাশ করে এ পর্যন্ত ৬১ চিঠিতে প্রায় ৮০টির মতো দল সংলাপে অংশ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানানো হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর থেকে।
তাহলে কতোদিন চলতে পারে এই সংলাপ? ওবায়দুল কাদের বলছেন: ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সংলাপ হতে পারে। কেউ যদি দ্বিতীয় দফায় কিংবা তারও বেশি সংলাপে বসার ইচ্ছে পোষণ করে তাও ভেবে দেখা হবে। যারা যারা সংলাপে বসতে ইচ্ছুক, সবার জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনার দরজা খোলা আছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে যেকোনো সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
অন্যদিকে আবারও সংলাপে বসার জন্য রোববার ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি দেওয়া হবে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ঘোষিত সময়-ই যদি সংলাপ শেষ হওয়ার নির্ধারিত তারিখ হয়, তাহলে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপের পর সময় থাকছে আর দু’দিন।
এই সময়ে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় সংলাপ এবং সংলাপে বসতে ইচ্ছে পোষণকারী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করতে হবে ক্ষমতাসীনদের।