নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে চলমান সংলাপে অংশ নিতে অপারগতা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বরাবর চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
শনিবার এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দলটি। আগামী ৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির সাথে সিপিবি’র সংলাপের তারিখ নির্ধারিত রয়েছে।
রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন থাকা একান্তভাবে প্রয়োজন। কিন্তু অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সেটাই যথেষ্ট নয়। নির্বাচন ব্যবস্থার মৌলিক গলদ দূর করতে না পারলে অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে না।
এই মৌলিক বিবেচনা থেকে সিপিবি নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের জন্য ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব’সহ ৫৩টি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের সুপারিশমালা ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে দেওয়া হয়েছিল। এ অবস্থায়, হুবহু একই আলোচ্যসূচিতে ও একই প্রকরণের আরেকটি সংলাপে যোগ দিয়ে সিপিবির নতুন কোনো কথা বলার নেই। সে কারণে তাতে যোগদান করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছি না।’
রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো চিঠিতে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে সিপিবি জানায়, ‘‘অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য সংবিধানসম্মতভাবে একটি নির্বাচন কমিশন মনোনীত করা জরুরি বিধায় আপনার কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, আপনি জাতীয় সংসদকে জরুরি বার্তা পাঠিয়ে আগামী একমাসের ভেতরে ‘নির্বাচন কমিশন আইন’ প্রণয়ন করে তা সাক্ষরের জন্য আপনার কাছে পাঠাতে বলুন। তাহলে নির্বাচন কমিশন মনোনয়নের আগে সে বিষয়ে পরামর্শ নেয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আপনার বৈঠকের প্রয়োজন পড়বে না।”