জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও নাগরিক ঐক্য’র আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী একবার ডেকেছেন, আবারও যাবো, ওই দরজা বন্ধ করতে পারবেন না। আবার সংলাপে বসতে হবে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সংলাপ করতে হবে। সমাধানের আগে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা যাবে না।
৩ নভেম্বর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত জেলহত্যা দিবসে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন: তফসিল ঘোষণা করলেই সব শেষ হয়ে যাবে না। মনে রাখবেন, তফসিল ঘোষণার পরও তা পরিবর্তনের ইতিহাস এদেশে আছে। আমরা দাবি আদায়ে লড়াই করবো৷ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবো। সংলাপও চলতে হবে।
‘পাঁচ বছর ধরে একটি ৪২০ নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় আছে সরকার৷ এখন তারা আবারও এমন নির্বাচন করতে চায়। মানুষ বিক্ষুব্ধ। মানুষ এই অরাজকতা চায় না। সকল নির্যাতন, নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছে।’
সংলাপ বিষয়ে তিনি বলেন: ড. কামাল হোসেন চিঠি দেন সংলাপ চেয়ে। একদিন আগেও সরকারের সব মন্ত্রী বলেছেন, সংলাপ আবার কী? সেই মন্ত্রীরাই একটি চিঠির ডাকে সাড়া দিয়েছেন। সেই সংলাপও আমরা অংশ নিয়েছি। সংলাপের মূল বিষয় ছিলো, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। এটা মানতে হবে। এখন সরকারের মেয়াদ শেষ৷ তাই এই সরকার থাকবে না।
‘ড. কামাল হোসেন সংবিধানের ভেতরে থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। যারা সংলাপে বসেছিলো তারা ড. কামালের বক্তব্যের মানেই বুঝেনি৷ তারা সমাধান করতে চায় না। তারা ক্ষমতায় থকতে চায়। সংলাপ তারা চায় না। মানুষ যখন জেগে উঠেছে জাগ্রত মানুষকে থামিয়ে দেয়ার জন্য ঠাণ্ডা পানি ঢেলে দিয়েছে৷’
মান্না আরো বলেন: আমরা মূল বিষয়ে কথা বলেছি সংলাপে৷ গণভবনের ভেতরে কোনো মিডিয়া ছিলো না৷ তাহলে কিভাবে ওখান থেকে ছবি বের হয়েছে? তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কী হয়েছে? কোথায় গেলো? উত্তর দেন। মিথ্যাবাদী, ভণ্ড, প্রতারক সরকার। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো৷ সংলাপ হোক না হোক। আন্দোলন হবে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। সভাপতিত্ব করছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী।
বক্তব্য রাখেন গণফোরামের মহাসচিব মোস্তফা মহসীন মন্টু, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।
এর আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পক্ষ থেকে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পেছানোর দাবিতে ইসিকে চিঠি দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
চিঠিতে উল্লেখ্য করা হয়, ‘৮ নভেম্বরের পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে প্রধানমন্ত্রীর আবারো সংলাপের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আবারো প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপে বসার ব্যপারে ইচ্ছুক।’