সাম্প্রতিক দেশের প্রথম সারি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটের আদলে নকল সাইট তৈরি করছিল একটি মহল। র্যাব বলছে, সেসব নকল সাইটের তৈরির মূল হোতা কোরিয়া প্রবাসী এনামুল হক মনি।
শনিবার সকালে রাজধানী উত্তরার বিমানবন্দর স্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার রাত পৌনে ১টায় সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ঈশ্বরদী থেকে ঢাকায় আসছিল এনামুল।
র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা প্রথম আলো, বিবিসি বাংলা, বাংলা ট্রিবিউন থেকে অভিযোগ পাই যে তাদের ওয়েব সাইটের আদলে নকল সাইট তৈরি করে একটি মহল পাঠকদের বিভ্রান্ত করে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করছে। এ বিষয় নিয়ে কাজ করতে গেলে আমরা এনামুলের খোঁজ পাই। তিনি এসবের মূল হোতা।
মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, এনামুল কোরিয়ায় বসে ২২টি জাতীয় পত্রিকার ওয়েব সাইটের হোস্টিং ডোমেইন কিনে তাদের আদলে ভুয়া সাইট তৈরি করে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করছিল। এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ভুয়া পেজ তৈরি করে প্রচার করত।
এনামুলের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি কাজ শুরুর পর আমরা এনামুলের শ্বশুরবাড়ি জামালপুর ও তার গ্রামের বাড়ি পাবনায় যাই। সেখানে খোঁজ নেই, পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসি।
এনামুলের পরিবার তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে যা বলেছে সে সম্পর্কে র্যাব বলছে, তাদের ধারণা এনামুল ইচ্ছাকৃতভাবে অপহরণের নাটক সাজিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর ভিন্ন পথে নিয়ে নিজে কোরিয়া চলে যাওয়ার ছক কষেছিল।
এ বিষয়ে মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, এনামুলের পরিবার দাবি করেছিল কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তারা ৪টি বিকাশ একাউন্টে এক লাখ টাকা অপহরণকারীদের দিয়েছে, কিন্তু ৪টি মোবাইল দিয়ে ৬০ হাজার টাকার বেশি পাঠানো সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, এনামুলের পরিবারও চেয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোযোগ ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে, এই ব্যাপারে যদি আমাদের কর্তৃপক্ষ তাদের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলে যে কেন তারা এমনটা করল তাহলে আমরা সেটা করবো।