চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সংবাদপত্র শিল্প থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

গণমাধ্যম বিকাশের ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে প্রস্তাবিত বাজেটে সংবাদপত্র শিল্পের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

এছাড়া ব্যাংক আমানতে আবগারি শুল্কের ক্ষেত্রে পূর্বের অবস্থা বহাল না করে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আবগারি শুল্কমুক্ত রাখার প্রস্তাব এবং সঞ্চয়পত্রের সুদের হার পুনর্বিবেচনারও আহ্বান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ সহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে দেশের অর্থনীতিকে বন্ধক দিয়ে দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যায়। দেশের সংবিধানকে বুটের তলায় পিষ্ট করে তখন মৌলিক নীতিগুলোকে নির্বাসনে পাঠানো হয়। ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ধারাবাহিকতায় আজকের এই বিশাল বাজেট।

হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে মানবসম্পদ উন্নয়নে সর্বোচ্চ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে। জ্বালানি শক্তি বৃদ্ধির জন্য যথার্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেয়ার সময় দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। এর আগের সামরিক সরকারগুলো দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে মনোযোগ দেয়নি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সেই অন্ধকার থেকে জাতিকে আলোতে নিয়ে এসেছেন। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, পৃথিবীর কোন উন্নয়নশীল দেশে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে এতো বরাদ্দ দেয়া হয় না। ২০০৯-১০ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ দেখে দেশের অনেক অর্থনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এর সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘এতো বড় সামাজিক নিরাপত্তার জাল আমরা বহন করতে পারবো না। সবার কথা মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি, সামাজিক নিরাপত্তার যে জাল তা আমরা বহন করতে পারি।’

শেখ হাসিনাতিনি কৃষিতে বরাদ্দ বাড়ানোর মাধ্যমে কৃষি ভর্তুকি বৃদ্ধি এবং শ্রমিকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধের মধ্যদিয়ে যাচ্ছি। রাজনৈতিক যুদ্ধ হচ্ছে জঙ্গি ও জঙ্গির সঙ্গীকে ক্ষমতার বাইরে রাখা। অর্থনৈতিক যুদ্ধ হচ্ছে সমৃদ্ধি অর্জনের যুদ্ধ। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দুর করার যুদ্ধ। এই দুই যুদ্ধের মধ্যেই অর্থমন্ত্রী বাজেট দিয়েছেন। এই বাজেটকে যুদ্ধের চশমা দিয়ে দেখে বিশ্লেষণ করা উচিত।

বাজেটের দুর্বলতার বিষয়গুলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষি রাজস্ব কম হচ্ছে, সমবায় অবহেলিত, হাওরের গুরুত্ব দিলেও চরাঞ্চল, বিল ও পাহাড়ের গুরুত্ব একটু কম দেয়া হচ্ছে, ব্যাংকের লুটপাট অব্যাহত রয়েছে, দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা যেহেতু বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে বিচার করছি, তাই দুর্নীতির সংস্কৃতি থেকেও আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।’