চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সংকটে সাদা পোশাকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি

টেস্টে সবচেয়ে বিবর্ণ বছর

পাঁচ ম্যাচের চারটিতে ইনিংস ব্যবধানে হার। অপরটি র‌্যাঙ্কিংয়ে পেছনে থাকা আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২২৪ রানের বড় ব্যবধানে হার। ২০১৯ সালে টেস্টে বাংলাদেশের এ ফল অশনিসংকেত ছাড়া আর কিছুই নয়। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে দুই দশকের পথচলায় এতটা বাজে পারফরম্যান্স শুরুর বছরগুলোতেও করেনি বাংলাদেশ।

ফেব্রুয়ারি-মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে বছরের প্রথম টেস্ট সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। হ্যামিল্টনে ইনিংস ও ১২ রানে হেরে যাওয়া দল ওয়েলিংটনে গিয়ে হার মানে ইনিংস ও ১২ রানে।

বছরের তৃতীয় টেস্ট বাংলাদেশ খেলে সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। চট্টগ্রামে স্পিনিং উইকেটের ফায়দা নিয়ে রশিদ খানের দল ম্যাচ জিতে নেয় ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে। বছরের শেষ টেস্ট সিরিজে ভারতে গিয়ে ধবলধোলাই বাংলাদেশ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হল ইনিংস ব্যবধানে পর পর দুটি বাজেভাবে ম্যাচ হেরে।

ইন্দোরে তিন দিনের মধ্যেই ইনিংস ব্যবধানে হারকে যারা ‘দুর্ঘটনা’ মনে করে ইডেনে আশায় বুক বেধেছিলেন, তাদের জন্য হতাশা ছাড়া কিছুই উপহার দিতে পারেনি বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে টেস্টে লড়াই করা কঠিন কাজ, তাই বলে এমন অসহায় আত্মসমর্পণ!

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে খেলা হল ৫ দিন। এক টেস্টের সমান। ইন্দোরে তৃতীয় দিনের চা-বিরতির পর ইনিংস ও ১৩০ রানের ব্যবধানে হার লেখা হয় বাংলাদেশের ভাগ্যে। কলকাতায় তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতির আগেই খেলা শেষ। এবার হার ইনিংস ও ৪৬ রানে।

চতুর্থ ও পঞ্চম দিনের টিকিট যারা কিনে ফেলেছিলেন তারা হয়ত ফেরত পাবেন মূল্য। সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান হয়ত আর্থিক ক্ষতির ব্যাপারটি পুষিয়ে নিতে পারবেন ব্যবসায়িক কাঠামোয়। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য সহজ হবে না ভাবমূর্তি ফেরানো।

বছরজুড়ে সাদা পোশাকে দলটির যে পারফরম্যান্স তাতে আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। ভক্ত-সমর্থকদের রঙিন আলো দেখাতে আগে সরাতে হবে অন্ধকার। যা করতে হবে ক্রিকেটারদেরই। আস্থা ফিরিয়ে আনতে দরকার হবে নতুন শুরুর মধ্য দিয়ে।