ম্যাচের ফলাফল তখন প্রায় নিশ্চিত। হাম্বানটোটায় দর্শকরা উল্লসিত হয়ে অপেক্ষায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার ম্যাচ জয়ের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর ২ উইকেট হলে সিরিজটাও জেতা হয়ে যাবে লঙ্কানদের। এমন সময়ই অন্ধকার নামলো রাজাপাকসে স্টেডিয়ামে। কিছুক্ষণের জন্য পুরো মাঠ অন্ধকার। আলো অবশ্য ফিরে এসেছে কিছুক্ষণ বাদেই। দ্রুতই সেই ২ উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে দিমুথ করুনারত্নের দল।
আবিষ্কা ফার্নান্দো ও কুশল মেন্ডিসের জোড়া সেঞ্চুরিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩৪৫ রানের বিশাল এক পাহাড় দাঁড় করিয়েছিলো শ্রীলঙ্কা। এর কোন জবাবই দিতে পারেনি ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা। ১৮৪ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হেরেছে ১৬১ রানের বিশাল ব্যবধানে!
অথচ এতটা রান হবে লঙ্কান ইনিংসে সেটা শুরুতে একদমই বোঝা যায়নি। মাত্র তৃতীয় ওভারে শেলডন কটরেলের জোড়া ছোবলে সাজঘরের পথে অধিনায়ক করুনারত্নে ও কুশল পেরেরা।
সাফল্য সেখানেই শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সেই নড়বড়ে ইনিংস থেকে তৃতীয় উইকেটে ২৩৯ রানের বিশাল এক জুটি গড়েন ফার্নান্দো ও মেন্ডিস জুটি। দুজনেই পেয়েছেন সেঞ্চুরি। ১২৩ বলে ১০ চারে ১২৭ রান করে আউট হয়েছেন ফার্নান্দো। সমান বল খেলে ১১৯ রান আউট হওয়ার আগে ১২টি চার মেরে গেছেন কুশল মেন্ডিস। দু’জনেই আউট হয়েছেন আলজেরি জোসেপের বলে। শেষদিকে থিসারা পেরেরার ২৫ বলে ৩৬ রানের ইনিংসে তিনশো পেরোয় স্বাগতিকরা।
ব্যাটিংয়ে নেমে শেই হোপ জবাব দিতে শুরু করলেও বাকি ব্যাটসম্যানরা কেউ তেমন মোকাবিলা করতে পারেননি লঙ্কান বোলারদের। হোপ করেছেন সর্বোচ্চ ৫১। অলআউট হয়েছে ৬৫ বল আগেই।
লঙ্কান বোলারদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন ভানিদু হাসারাঙ্গা ও লক্ষ্মণ সান্দাকান।