চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শ্রীলঙ্কার দুঃসময়ের সুযোগ নিতে পারবে আফগানিস্তান?

বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লজ্জার হার সঙ্গী হয়েছে শ্রীলঙ্কার। অন্যদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হারলেও ভয়-ডরহীন ক্রিকেট খেলে প্রশংসা কুড়িয়েছে আফগানিস্তান। মঙ্গলবার দল দুটি নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে। প্রথম ম্যাচের হতাশা কাটিয়ে জয়ে ফিরতে মরিয়া হয়েই নামবে লঙ্কান ও আফগানরা।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আফগানদের হার ৮ উইকেটের ব্যবধানে।

২০১৫ সালের পর থেকেই বেশ নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়নদের সাম্প্রতিক ফর্ম মোটেই ভালো নয়। বিশ্বকাপের মঞ্চে সাড়া ফেলে দেয়ার জন্য এই সুযোগটিই কাজে লাগাতে চাইবে আফগানিস্তান। তাছাড়া ভালো ক্রিকেট খেলার যথেষ্ট সামর্থ্য আছে নবি-রশিদের দলের।

গত বছর এশিয়া কাপের ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরেই গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সোমবার তাই শুধু ছন্দ ফেরার নয়, বরং সেই হারের বদলা নেয়ারও মোক্ষম সুযোগ পাচ্ছে লঙ্কানরা।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আফগানিস্তান বেশ উন্নতি করলেও এখনো বড় দলের বিপক্ষে বড় পরীক্ষায় উতড়ে যেতে পারেনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিয়ে জয় ছিনিয়ে আনতে পারলে সেটি আফগান ক্রিকেটের জন্য স্মরণীয় হয়েই থাকবে।

আফগানিস্তান চাইলে একটা পরিসংখ্যান থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কার চেয়ে ২২ ম্যাচ কম খেলে ১২টি জয় বেশি পেয়েছে আফগানরা। ফলে নড়বড়ে শ্রীলঙ্কার আফগানিস্তানকে সমীহ করা ছাড়া উপায় নেই!

শ্রীলঙ্কার বাজে সময়ের সুযোগটা যে নিতে চাইছে আফগানিস্তান, দলনায়ক গুলবাদিন নায়েবের কথাতেই সেটি স্পষ্ট। যেমনটা বলছিলেন ম্যাচের আগে, ‘একদিনের ম্যাচে গত এক অথবা দুই বছর ধরে শ্রীলঙ্কা সংগ্রাম করছে। তাদের বিপক্ষে আমাদের ভালো করার দারুণ সুযোগ রয়েছে। যদি আমরা ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভার খেলতে পারি, তবে আমরা তাদের হারাতে পারি।’