দুর্নীতিতে জর্জরিত শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটকে কলঙ্ক ধুয়ে পরিষ্কার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইসিসি। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লঙ্কান দুর্নীতিগ্রস্থ খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের নিজেদের অপরাধের জন্য ক্ষমাও চাইতে বলেছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। সময়সীমা পার হয়ে গেলে পরিণাম খারাপ হবে বলেই হুঁশিয়ারি তাদের।
বর্তমান সময়ে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ বোর্ড বলে আখ্যায়িত করেছে আইসিসি। ক্রিকেটের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত পাপে জর্জরিত বলে গত মাসে দাবি করেছিলেন দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী। নামী-দামি সাবেক, বর্তমান খেলোয়াড়দের অনেকেই আছেন সন্দেহের তালিকায়। গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লঙ্কানদের একটি টেস্ট নিয়েও তদন্ত করছে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু)।
দুর্নীতিতে জড়িত খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নেয়ার জন্য ১৫ দিন সময় বেঁধে দিয়েছে আইসিসি। এই সময়ের মধ্যে অপরাধ স্বীকার করলে সাজা ও জরিমানা কমিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
আইসিসির বেঁধে দেয়া সময়ের জবাবে ইতিবাচক সাড়া মিলছে বলে জানিয়েছেন আকসু প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল। অনেকের স্বীকারোক্তিতে অজানা অনেক জোচ্চুরির ঘটনাও নিকট ভবিষ্যতে আলোতে আসবে বলে সোমবার বিবৃতিতে জানান মার্শাল।
‘শেষ কয়েকদিনের মধ্যে আমি ক্রিকেটে সৌহার্দ্য রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি। সবাই এগিয়ে আসুন। যার যার কাছে দুর্নীতিবিষয়ক তথ্য আছে সেগুলো কঠোর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দিন।’
নির্দিষ্ট সময়সীমার পর কারও দুর্নীতি প্রমাণ হলে তাকে কমপক্ষে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আকসু প্রধান।
সাবেক বোর্ড প্রধান থিলাঙ্গা সুমাথিপালার সময়ে সবচেয়ে করুণ অবস্থা হয় লঙ্কান ক্রিকেটের। এরপরও মেয়াদ শেষ হওয়ার নয় মাস পর্যন্ত চাকরি ছাড়েননি তিনি। গত বছরের মে মাসে পদ থেকে সরেছেন সুমাথিপালা। গত নভেম্বরে দুর্নীতির সন্দেহে সাবেক পেস বোলার দিলাহারা লোকুত্তিগেকে সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার আগে লঙ্কান কিংবদন্তি ও সাবেক প্রধান নির্বাচক সনাথ জয়সুরিয়া ও সাবেক পেসার নুয়ান জয়সার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আকসু।