নারায়নগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে নিগ্রহের জন্যে অভিযুক্ত এমপি সেলিম ওসমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও প্রহসনমূলক তদন্ত প্রতিবেদনে ক্ষুব্ধ ‘নাগরিক সমাজ’। আজ মঙ্গলবার শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ সমাবেশ করে ঘটনার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া ও প্রহসনমূলক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রকাশক রবীন আহসান, সাবেক ছাত্রনেতা আকরামুল হক, জয়ন্ত জীবনানন্দ, সঙ্গীতা ইমাম ও অন্যন্য ব্যক্তিরা।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ এনে গত ১৩ মে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায় এলাকাবাসী। পরে একপর্যায়ে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে তাকে কান ধরে উঠবস করানো হয়। এরপর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি।
এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। বিষয়টি তদন্তে সরকারিভাবে কমিটি গঠন করা হয়। ১৯ মে সরকারি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছিলেন, নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় অবমাননার’ অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি অন্যায়ভাবে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল। বিদ্যালয়ের ওই পরিচালনা কমিটি বাতিল ও শ্যামল কান্তিকে স্বপদে বহাল রাখার কথাও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর শ্যামল কান্তি ভক্তকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত ৯ জুন হাসপাতাল থেকে পুলিশ প্রহরায় তাকে নগরীর নগর খানপুরের ভাড়া বাড়িতে নেয়া হয়।