কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদ জামাত শুরুর আগে সেখান
থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে আজিমুদ্দিন স্কুলের পাশে সন্ত্রাসীরা
পুলিশের উপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছে। হামলায় পুলিশের দুই সদস্য, স্থানীয় একজন মহিলা এবং একজন
সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
এই ঘটনায় ১০ পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৪ জন। আক্রমণকারীরা বোমা, চাপাতি এবং বন্দুক
নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়।
দুই সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ। তাদের একজনকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও একজনকে র্যাবের গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
সেখানকার পরিস্থিতি আইনশৃংখলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শেষ খবর পর্যন্ত সেখানে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চলছে।
হামলাকারীরা স্কুলের পাশে একটি বাড়িতে অবস্থান নেয়ায় ওই বাড়ির চারদিক ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ও র্যাবের বোমা নিস্ক্রিয়করণ এবং কমান্ডো ইউনিট ঘটনাস্থলে গেছেন।
সন্ত্রাসী হামলায় আহতদের ময়মনসিংহ সিএমএইচ এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় সিএমএইচ-এ আনা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ শহর ও এর আশপাশের এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশী চালাচ্ছে পুলিশ।
গত শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার এক সপ্তাহের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটলো। ওই ঘটনায় ১৭ জন বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরে সামরিক অভিযানে ৬ সন্ত্রাসীর মৃত্যু হয়।