শনিবার আঘাত হানা ৭.৯ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্পে আক্রান্ত মানুষদের স্মরণে তিনদিনের শোক পালন করছেন নেপালের অধিবাসীরা।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা ধ্বংসযজ্ঞের পরিমাণ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, সরকার তার সামর্থ্য অনুযায়ী সবকিছুই করছে। টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পে নেপালি, বিদেশি ভাই ও বোন, বয়োবৃদ্ধ ও শিশু যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের স্মরণে আমরা আজ (বুধবার) থেকে তিনদিনের জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
দেশটির ৮১ বছরের ইতিহাসে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। প্রান্তিক হিমালয় এলাকায় সাহায্য পৌঁছাতে উদ্ধারকারীরা এখনো সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। খোলা আকাশের নিচে ক্যাম্প করে অবস্থান করা শত সহস্র মানুষের দুরাবস্থা ভারি বৃষ্টিপাতে আরও বেড়েছে।
দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ, চীন, ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। নেপালের একজন কর্মকর্তা বলেন, এখন তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কম্বল, হেলিকপ্টার এবং গাড়ি চালক।
চীনের আর্ন্তজাতিক সন্ধান ও উদ্ধার দলের উপপ্রধান ক্যু ঘুসেং বলেন, এতো সংকীর্ণ জায়গার মধ্যে অনেক বহুতল ভবন ধসে পড়েছে যে উদ্ধার কাজ চালাতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। তবে নেপালের সেনাবাহিনী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। উদ্ধার করা হয়েছে হিমালয় পর্বতে আটকে পড়া প্রায় ২০০ পর্বত আরোহীকে। নেপালের পর্যটন শিল্পীরে প্রধান তুলসি গৌতম বলেন, সোমবার প্রায় ৬০ জন আরোহীকে হেলিকপ্টারে করে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়েছে।
নেপালের সেনাবাহিনীর প্রধান গৌরব এসআরজে রানা বলেন, এখনও ১৫ থেকে ২০ ফুট নীচে জীবিত অনেকে আটকা পড়ে আছেন। এ রকম একজনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।
তবে হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত সেবা সামগ্রী ও ওষুধ নেই। আহতদের ভিড়ে উপচে পড়ছে হাসপাতালগুলো। মর্গগুলো ভরে গেছে লাশে। সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে আছে। কোনে গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। কাঠমান্ডু শহরে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ।