আজ শোকাবহ ১৫ই আগষ্ট। জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির শোকের দিন। ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের ৪০ বছর।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০ তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে টুঙ্গীপাড়ায় তাঁর সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানান নেতাদের সঙ্গে নিয়ে। জাতীয় সংসদেও স্পিকার ডক্টর শিরিন শারমীন চৌধুরীও জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ফাতেহা পাঠ ও দেয়া মোনাজাতে অংশ নেন উপস্থিত সবাই।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেন করা হয়। দিনের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে শোক দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা)। পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এসময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সেখানে তারা কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানাসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বনানী কবরস্থানে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে দোয়া পাঠ ও মোনাজাত করা হয়।
৪০ বছর আগের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে সেনাবাহিনীর একটি অংশ। তাদের সঙ্গে যোগদেয় স্বাধীনতাবিরোধী চক্র।যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার পাশাপাশি কালো পতাকাও উত্তোলন করা হয়েছে।