চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বাঙালির শোকের মাস আগস্ট

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা করা হয়। অনেক বছর পর এ মাসেই গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চলে। দেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র বানাতে সারাদেশে বোমা হামলাও চালানো হয় এ আগস্টেই।

সেদিন আকাশে শ্রাবণের মেঘ ছিল। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট ভোরে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িটির সামনে এসে থামে সেনাবাহিনীর কয়েকটি গাড়ি। যারা নেমে আসে তারা বাড়িটির নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনা সদস্যদেরই সিনিয়র অফিসার। তাই ঢুকে পড়তে কোন সমস্যাই হয় না তাদের।

দোতলার সিঁড়িতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে তারা।

হত্যা করা হয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল এবং বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসেরকে। খবর পেয়ে ছুটে যাওয়া রাষ্ট্রপতির সদ্য সাবেক প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জামিলকেও হত্যা করে তারা।

পাশাপাশি হত্যাযজ্ঞ চলে ধানমন্ডিতে শেখ মণি এবং মিন্টো রোডে আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বাসভবনে।

দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় যারা ক্ষমতায় আসে তাদেরই নানা স্রোত দেশ শাসন করে পরের ২১ বছর। ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে আওয়ামী লীগ সরকার। তবে, ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। হত্যা মামলার রায় যেন বাস্তবায়ন করা না যায় সেজন্য একদিকে উচ্চ আদালতকে ঘিরে ষড়যন্ত্র চলে। অন্যদিকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয় শেখ হাসিনার জনসভায়। অল্পের জন্য শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন।

পরের বছর ১৭ আগস্ট বাংলাদেশের ৬৩টি জেলার ৪শ ৩৪টি স্থানে একযোগে বোমা হামলা চালায় জেএমবি। সেটাও ছিল বাংলাদেশকে উল্টোপথে নিয়ে যাবার আরেক ষড়যন্ত্র যার বিরুদ্ধে এখনও সরকারকে সংগ্রাম করে যেতে হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলছে, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জাতির জনককে হারানোর আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করার আহ্বান তাদের।

ভিডিও রিপোর্টে বিস্তারিত