সিলেট থেকে: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মঙ্গলবারই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গেলে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে একাদশে দেখা যাবে না মুশফিকুর রহিমকে। বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৩ এপ্রিল পাকিস্তানে একমাত্র ওয়ানডেতে যে একাদশ খেলবে সেটিই থাকবে সিলেটে হোম সিরিজের শেষ ম্যাচে।
তিনদফা সফরের শেষ ধাপেও পাকিস্তানে যেতে রাজি হননি মুশফিক। যে কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের একাদশে তাকে বিবেচনায় রাখা হবে না।
দ্বিতীয় ওয়ানডের ইনিংস বিরতির ফাঁকে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু টিম ম্যানেজমেন্টের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বসে আমরা একটা চিন্তা-ভাবনা করেছি, পাকিস্তানে যেহেতু আমাদের একটা ওয়ানডে আছে, যদি জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজ আজ ২-০ হয়ে যায়, তাহলে তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানে যে ১১জন খেলবে ওই দলটাকেই আমরা খেলানোর চিন্তা করছি।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষে নতুন করে ওয়ানডে অধিনায়ক ঘোষণা করবে বিসিবি। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার জায়গায় যদি নতুন অধিনায়ক আসে তাহলে জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তান ম্যাচের একাদশ এক নাও হতে পারে।
মাশরাফী অবশ্য জানিয়ে রেখেছেন বিসিবি চাইলে যেকোনো দেশেই যেতে রাজি তিনি। সেটি মনে করিয়ে দেয়া হলে প্রধান নির্বাচক বললেন, ‘পাকিস্তান সিরিজের দল নিয়ে আমরা বসিনি। মুশফিক যাবে না, সিদ্ধান্তটা হয়ে গেছে। ১৫জন থেকে একজন কমে গেছে। সেই হিসেবে ওর জায়গায় আমরা বিকল্প নিয়ে চিন্তা করছি, যেহেতু সেখানে একটি টেস্টও আছে। মাশরাফীর ব্যাপারে এখনো আলোচনা হয়নি। এই সিরিজ শেষ হলেই হবে।’
‘মাশরাফীর ব্যাপারটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। স্পেশাল কেস। এই সিরিজে ও অধিনায়ক। মুশফিক যাচ্ছে না, এজন্য মুশফিকের চিন্তাটা করেছি।’
মুশফিককে দ্বিতীয় ওয়ানডেও খেলাতে চায়নি বিসিবি। পাকিস্তান যেতে যেন রাজি হন সেজন্য দেয়া হয়েছিল বাদ দেয়ার হুমকি। যদি নির্বাচকরা সেটি অস্বীকার করেছেন।
বাদ দেয়ার খবরটি সোমবার রাতে ছড়িয়ে পড়লে একরকম বাধ্য হয়েই মুশফিককে ম্যাচ খেলায় টিম ম্যানেজমেন্ট। চাপ মাথায় নিয়েও খারাপ করেননি মুশি। খেলেছেন ৫০ বলে ৫৫ রানের ইনিংস।