হজ পালন শেষে দেশে ফেরার পরদিনই ছুটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা স্ত্রী-কন্যার কাছে চলে যান সাকিব আল হাসান। সঙ্গে আঙুলের অস্ত্রোপচার পিছিয়ে দিয়ে এশিয়া কাপ খেলার সিদ্ধান্ত নেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকেই সরাসরি দলের সঙ্গে দুবাইয়ে যোগ দেয়ার কথা এ অলরাউন্ডারের।
ফিজিওর পরামর্শ নিয়েই এশিয়া কাপে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাকিব, তখন জানা যায় এমন কথাই। তবে দুবাই উড়াল দেয়ার তিনদিন আগে একটি ইংরেজি দৈনিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ফিটনেস নিয়ে সাকিব বলেছেন, তিনি ২০-৩০ শতাংশ ফিট। বৃহস্পতিবার মিরপুরে সফরপূর্ব সংবাদ সম্মেলনের অনেকটা অংশজুড়েই তাই থাকল সাকিবের ইনজুরি প্রসঙ্গ।
হেড কোচ স্টিভ রোডসের ধারণা সাকিব ৬০-৭০ শতাংশ ফিট। আর অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা মনে করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সাকিবের অবস্থা যেমন ছিল, তেমনটি থাকলেই চলবে।
‘শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সাকিব যেভাবে খেলেছে, সেই হিসেবে সাকিবই সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে সে কেমন আছে। সবমিলিয়ে যদি আপনি সাকিবের পারফরম্যান্স দেখেন, তাহলে বলতে হবে আমাদের জয়ের জন্য তার পারফরম্যান্স অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে। আমার কাছে মনে হয় ও অতটুকু সুস্থ থাকলে সেটা দলের জন্য যথেষ্ট।’
‘তবে সিদ্ধান্তটা সাকিবের। এখানে কারো কোনো হাত নেই। সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এখানে অজুহাতের কোনো জায়গা থাকার কথা না। সে যখন খেলবে তখন শতভাগ দিয়েই খেলবে।’ -যোগ করেন মাশরাফী।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে দেশে ফিরে সাকিব বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, যতটা দ্রুত সম্ভব চোটাক্রান্ত আঙুলে করাতে চান অস্ত্রোপচার। পরে হজ পালন শেষে নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠকও করেন।
বিসিবি সভাপতি তখন জানিয়েছিলেন- এশিয়া কাপের পর সাকিব অস্ত্রোপচার করাবে, এমন কথাই হয়েছে। এশিয়া কাপের গুরুত্ব বিবেচনায় ঢাকা পড়ে যায় সাকিবের আঙুলে ব্যথা অনুভবের ব্যাপারটি। তাকে রেখেই ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করে বিসিবি।
শেষ মুহূর্তে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে সাকিবকে নিয়ে। সফরের দু’দিন আগে সাকিবের মন্তব্য নিয়ে দোলাচল শুরু হয়েছে, আদৌ খেলতে পারবেন তো টাইগারদের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার!