জীবিত অবস্থায় দুইবার পরিকল্পনা করেও হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে একসঙ্গে রহস্যে ঘেরা মিশর দেখা হলো না তার স্ত্রী, অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনের। আর সে কারণেই হুমায়ূনের মৃত্যুর পর যখন তিনি একা মিশর দেখার সুযোগ পেলেন, তখনও যেন হুমায়ূনকে নিয়ে মিশর দর্শনের পরিকল্পনার স্মৃতিই হাতড়ে বেড়াচ্ছেন শাওন।
সম্প্রতি স্থাপত্য বিষয়ক সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য মিশর দর্শনের আমন্ত্রণ পেলেন শাওন। ক’দিন ধরেই ঘুরে ঘুরে দেখছেন কৈশোরের স্বপ্ন মিশরকে। পিরামিড, স্ফিংস, ফারাও, মমি, তুতেন খামেন, রেমেসিস ২, ক্লিওপেট্রা এবং নেফারতিতিতে মজে আছেন তিনি। মিশর দেখার স্বপ্ন পূরণ হলেও হুমায়ূনের সঙ্গে মিশর না দেখতে পারার আক্ষেপ তবু ছুঁয়ে গেল শাওনের।
মিশর নিয়ে আগ্রহ ছিলো সেই কৈশোর থেকেই। এরপর স্থাপত্যকলায় পড়ার সময় আরো আগ্রহী ওঠেন শাওন। পরবর্তীতে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে প্রণয়কালেও মিশর দেখার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন তিনি। শুধু তাই না, হুমায়ূন নিজেও তাকে ‘মিশরীয় রাজকন্যা’ বলে ডাকতো জানিয়ে শাওন বলেন, সবসময় মাঝে সিঁথি করে চুল ছেড়ে রাখতাম বলে প্রণয়ের কালে হুমায়ূন আমায় ডাকতেন ‘মিশরীয় রাজকন্যা’। নিজেকে কোনো এক ফারাও রাজকন্যা ভেবে মনে মনে পুলকিতও হয়েছি কখনো কখনো।
হুমায়ূনের সঙ্গে দুইবার মিশর যাওয়ার পরিকল্পনাও করেছিলেন শাওন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাদের একসঙ্গে মিশর দেখা হয়নি। তাই যখন এবার মিশর দর্শনের আমন্ত্রণ আসলো তিনি এককথায় রাজি হয়ে গেলেন। একথা জনিয়ে সম্প্রতি ফেসবুক স্ট্যাটাসে শাওন জানালেন, ২০০৪ এর পর দুই-দুইবার পরিকল্পনা করেও শেষ পর্যন্ত মিশর দর্শন হলো না হুমায়ূন আর আমার। তাই হঠাৎ যখন একটি স্থাপত্য বিষয়ক সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য মিশর দর্শনের আমন্ত্রণ পেলাম তখন হ্যাঁ বলতে ১০ সেকেন্ড সময়ও নেইনি।