বুধবার বিকেলে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে জনপ্রিয় অভিনেতা তাপস পালের। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তার। তার আগে সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন এই অভিনেতা।
মঙ্গলবার রাতে তাপস পালের মরদেহ মুম্বাই থেকে কলকাতায় আনা হয়। বিমানবন্দরে মরদেহ গ্রহণ করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং তাপস পালের কন্যা সোহিনী। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ কলকাতার গলফ ক্লাব রোডের নিজের বাসভবনে।সেখানে পরিবারের সদস্যদের মরদেহ দেখানোর জন্য কিছুক্ষণের জন্য রাখা হয়। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার হিমঘর পিস হ্যাভেনে।
বুধবার সকালে প্রথমে টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে যাওয়ার কথা না থাকলেও, শিল্পীদের অনুরোধে ১০ মিনিটের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাপস পালকে। এরপর বেলা ১১টায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার রবীন্দ্রসদনে। এখানে মমতা ব্যানার্জী, তারকা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাপস পালকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
বেলা ১টা পর্যন্ত রবীন্দ্র সদনে রাখার পর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। বিকেলে অভিনেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুর রোগে ভুগছিলেন তাপস পাল। কথা বলা ও চলা–ফেরায় সমস্যা ছিল। ১ ফেব্রুয়ারি বান্দ্রার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। ৬ ফেব্রুয়ারি লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করা হয়। সোমবার রাতে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তাপস পাল। মঙ্গলবার ভোররাতে মুম্বাইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাপস পালের। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
২২ বছর বয়সে মুক্তি পায় তাপস পালের প্রথম ছবি ‘দাদার কীর্তি’। এরপর একের পর এক ব্যবসা সফল ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তার উল্লেখযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সাহেব’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, ‘পারাবত প্রিয়া’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’। ‘সাহেব’ ছবির জন্য তিনি ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন।