চট্টগ্রাম থেকে: টেস্টের রোমাঞ্চ বেশিরভাগ সময়ই পাওয়া যায় পঞ্চম দিনে। ঘটে নানান নাটকীয়তা। চট্টগ্রাম টেস্টে তেমন কিছুর আভাস মিলল পড়ন্ত বিকেলে। তাইজুল ইসলাম যে ঘূর্ণি জাদু দেখালেন, তাতে শেষদিনে আরও ভালো কিছুর আশা করতেই পারে মুমিনুল হকের দল।
বুধবার স্বস্তি নিয়ে চতুর্থ দিন শেষে করেছেন মুমিনুলরা। ৬৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে করেছে ৩৯। এখনো তারা পিছিয়ে ২৯ রানে। হাতে ৮ উইকেট।
দিনের শেষ ওভারের প্রথম বলে বিরাট টার্নে নাইটওয়াচম্যান লাসিথ এম্বুলডেনিয়াকে যেভাবে আউট করেছেন তাইজুল, তা দেখলে যেকেউই বাংলাদেশের পক্ষে বাজি ধরবেন। ওই বলটির পর শেষ হয় দিনের খেলা।
পঞ্চম দিনে ব্যাটিং করা আরও কঠিন হতে পারে। তাইজুলের সঙ্গে সাকিব আল হাসান, নাঈম হাসানও জ্বলে উঠতে পারলে জয়ের আশাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। আপাতত ড্রয়ের পাল্লাই ভারী।
জোড়া সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৪৬৫ রান তুলেছে। তার আগে ৩৯৭ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের শেষ ব্যাটার শরিফুল ইসলাম বলের আঘাতে ডান হাতে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লে সাড়ে চারশর ছাড়িয়ে শেষ হয় ইনিংস। তামিম ইকবাল ১৩৩ ও মুশফিকুর রহিম ১০৫ রান করেন।
অল্পের জন্য সেঞ্চুরি পাননি লিটন দাস। আউট হন ৮৮ রানে। তামিমের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে দেড়শ পেরোনো মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান।
বিশ্ব ফার্নান্দোর জায়গায় ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে সুযোগ পাওয়া কাসুন রাজিথা নেন মূল্যবান ৪টি উইকেট। আরেক পেসার আসিথা ফার্নান্দো ৩টি, দুই স্পিনার লাসিথ ও ধনঞ্জয়া নেন একটি করে উইকেট।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের সকালে বৃষ্টির কারণে ৩০ মিনিট দেরিতে শুরু হয় খেলা। শেষ সেশনে সময় বাড়িয়ে সেটি পুষিয়ে নেয়া হয়।