রাওয়ালপিন্ডি, করাচির পর লাহোর টেস্টও ড্রয়ের চেষ্টা চালিয়েছিল পাকিস্তান। বেনো-কাদির ট্রফির তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচের শেষদিনের রোমাঞ্চে অবশ্য খেই হারিয়েছে বাবর আজম বাহিনী। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষটিতে ১১৫ রানের জয়ে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ নিয়ে ফিরছে প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া।
১৯৯৮ সালের পর পাকিস্তানের মাটিতে খেলছে অস্ট্রেলিয়া। দুইযুগ পরের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে পাকিস্তানের সমানে-সমান লড়ে ড্র করে অজিরা। দ্বিতীয় টেস্টে প্রায় জিতেই গিয়েছিল কামিন্সের দল। বাবর-রিজওয়ানের বীরত্বপূর্ণ ইনিংসে হার এড়ায় স্বাগতিকরা। শেষ ম্যাচেও লড়াইটা চালিয়েছিলেন বাবর-ইমাম, কামিন্স-লায়নের কাছে আত্মসমর্পণে মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পায়নি যে লড়াই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর- অস্ট্রেলিয়া-৩৯১ ও ২২৭/৩ (ইনিংস ঘোষণা), পাকিস্তান-২৬৮ ও ২৩৫
লাহোর টেস্টে ফল পেতে মরিয়া ছিল পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ দিন শেষে লড়াই জমে ওঠে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৭ রান তুলে ৩৫১ রানের লক্ষ্য দেয় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে চতুর্থ দিন বিনা উইকেটে ৭৩ রান তুলে লড়াইয়ের আভাস রাখে স্বাগতিক দল।
পঞ্চম দিনে ৭৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি বড় করতে পারেননি আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম-উল-হক। দলীয় ৭৭ রানের মাথায় গ্রিনের বলে ক্যারিকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শফিক, শেষদিনে কোনো রানই যোগ করতে পারেনি ডানহাতি ব্যাটার।
৪২ রানে দিন শুরু করা ইমামকে দ্বিতীয় শিকার বানান নাথান লায়ন। লাবুশেনকে ক্যাচ দেয়ার আগে ১৯৯ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলেন ইমাম। মাঝে আজহারের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান।
১৪২ রানে শুরুর ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে পাকিস্তান এগোয় ড্রয়ের লক্ষ্যে। বাবর-রিজওয়ানদের পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়ান লায়ন। ডানহাতি অফস্পিনার ইমাম-আজহারের পর ড্রেসিংরুমের পথ দেখান বাবর-হাসান-শাহিন শাহকেও। তার ফাইফারের দিনে ইমাম ও বাবরের ফিফটি ছাড়ানো ইনিংস যায় হারের খাতায়।
কামিন্সের তোপে ফাওয়াদ আলম ১১ রানে ও মোহাম্মদ রিজওয়ান শূন্য রানে ফিরলে জয়ের পথ সুগম হয় অস্ট্রেলিয়ার। সফরকারীদের সিরিজ নিশ্চিত দ্রুততর করেন লায়ন। ২১৩ রানে ফিফটি ছাড়ানো বাবরকে ফেরান ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে।
পাকিস্তানের শেষের ৪ উইকেট ২২ রানের মাঝে তুলে নেন কামিন্স-স্টার্ক। বেনো-কাদির ট্রফি নিজেদের করে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
তিন ম্যাচের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন উসমান খাজা। হয়েছেন সিরিজসেরা। পাঁচ ইনিংসে ব্যাট করে দুটি করে শতক ও অর্ধশতকে ৪৯৬ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটার।
সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে বল হাতে প্রথম ইনিংসে ৫৬ রানে ৫ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ রানে ৩ উইকেট তুলে ম্যাচসেরা হয়েছেন সফরকারী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।