চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শেষটা মধুর না হলেও সঙ্গী সিরিজ জয়ের সন্তুষ্টি

সিরিজ বাংলাদেশের, জয় ৩-২ ব্যবধানে

পথটা সহজ হবে না। নিউজিল্যান্ড ১৬২ রানের লক্ষ্য দেয়ার পর এটা জানাই ছিল। দেখার ছিল কতটা লড়াই জমাতে পারে বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের সন্তুষ্টির পিঠে যোগ করতে পারে কিনা দারুণ এক জয়। সেটি হয়নি। শেষটা মধুর হয়নি। বড় চ্যালেঞ্জের পেছনে ছুটতে নেমে ২৭ রানে হেরে বসেছে টাইগাররা।

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ তাতে সমাপ্তি দেখল ৩-২ ব্যবধানে। শেষটা প্রত্যাশার মতো না হলেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের সঙ্গী হচ্ছে প্রথমবার কিউইদের টি-টুয়েন্টি সিরিজে হারানোর সুখস্মৃতি।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

প্রথম ম্যাচে ল্যাথামদের ৬০ রানে গুঁড়িয়ে ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ রানে জিতে করে ২-০। তৃতীয় ম্যাচে ৫২ রানে জিতে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। চতুর্থ টি-টুয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচে হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।

ঠিক আগের সিরিজে নিউজিল্যান্ডের তাসমান সাগরপাড়ের প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়াকে ঘরের মাটিতে ৪-১ ব্যবধানে টি-টুয়েন্টি সিরিজে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তার আগে ছোট ফরম্যাটের সিরিজ জিতে এসেছে জিম্বাবুয়ে থেকে। টানা তিন সিরিজ জয় সঙ্গী করে আসন্ন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে যাবে টিম টাইগার্স।

শুক্রবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টম ল্যাথামের দলের বিপক্ষে টসে হেরে আগে বোলিংয়ের আমন্ত্রণ পায় স্বাগতিকরা। শুরুতে ব্যাট করে সফরকারীরা নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ১৬১ রান তোলে। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান পর্যন্ত যেতে পারে বাংলাদেশ।

জবাব দিতে নেমে একদিকে রানের চাকা ঘোরাতে পারেনি টাইগাররা, আরেকদিকে উইকেট পড়ছে টপাটপ। একসময় ৪৬ রানের মধ্যে টপঅর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যান ফিরে যান সাজঘরে।

উইকেট ছুঁড়ে যাওয়া-আসার শুরুটা করে দেন লিটন দাস, ১২ বলে ১১ রান তার। একাদশে ফেরা সৌম্য সরকার করতে পেরেছেন সবে ৪, ৯ বলে। আরেক ওপেনার নাঈম শেখ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন, ৩ চারে ২১ বলে ২৩ রানের বেশি এগোতে পারেননি তিনিও।

অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ৮ রানে ৩ করে টপঅর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করে দেন। বাংলাদেশ তখন বিপদে। আফিফ হোসেনকে নিয়ে হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ জুটিতে ৬৩ রান যোগ করে আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় রানের সাথে পাল্লা দেয়া সম্ভব হয়নি। অধিনায়ক একটি করে চার-ছক্কায় ফিরে যান ২১ বলে ২৩ করে।

পরে সোহান ৪, শামীম ২ রানে ফিরে গেলে নিঃসঙ্গ থেকে যায় আফিফের প্রচেষ্টা। শেষ পর্যন্ত ২ চার ও ৩ ছয়ে ৩৩ বলে তার অপরাজিত ৪৯ রানের ইনিংসটা কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।

এর আগে ঝড়ের শুরু করে যান ফিন অ্যালেন। শেষ টানে ল্যাথাম। শরিফুলের এক ওভারে ১৯ রান বেরিয়ে যায়। শরিফুলই পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে লাগাম টানেন। তাতে রানের চাকায় গতি কমে আসলেও লাগাম টেনে ধরা যায়নি। ধরতে দেননি আসলে অপরাজিত ফিফটি তোলা ল্যাথাম।

অ্যালেন ও রাচিন রবীন্দ্র মিলে ৩৪ বলে ৫৮ রানের ওপেনিং জুটি আনেন। ৩ চারে ১২ বলে ১৭ করা রবীন্দ্রকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে জুটি ভাঙেন পেসার শরিফুল। ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বল ছিল সেটি।

ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা অ্যালেনকে ওই ওভারে এক বল পরেই সাজঘরের পথ দেখান শরিফুল। করেন বোল্ড। শুরুতে শামীমের হাতে জীবন পাওয়া অতিথি ওপেনার ফেরার আগে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ২৪ বলে ৪১ করে যান।

উইল ইয়াং ৬, ডি গ্র্যান্ডহোম ৯, হেনরি নিকোলস ২১ বলে ২০, কোল ম্যাককোনকি ১০ বলে অপরাজিত ১৭ রানের অবদান রাখেন। আর সংগ্রহ দেড়শর ওপারে টেনে নিতে নেতৃত্ব দেন ল্যাথাম।

কিউই অধিনায়কের তাণ্ডবে তাসকিনের করা ইনিংসের ১৯তম ওভারে ১৮ রান বেরিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত তাকে আউট করা যায়নি। ২টি করে চার-ছয়ে ৩৭ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস ল্যাথামের। রান সংকটের সিরিজে দ্বিতীয় ফিফটি তার।

৪ ওভারে ৩৪ রান খরচায় এক উইকেট তাসকিনের। এক উইকেট নিতে ৩ ওভারে নাসুমের খরচ ২৫। সবচেয়ে খরুচে শরিফুল, ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে বিলিয়েছেন ৪৮ রান।

মাহমুদউল্লাহ ৩ ওভারে ১৭ রান দিয়ে উইকেটের দেখা পাননি। ২ ওভারে ১৪ রান দিয়ে সৌম্যও একই। শামীম এক ওভারে দিয়েছেন ৪ রান, আর বল পাননি। ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে এক উইকেট আফিফের।