বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে শেভরণ, তেমনই বলছে সরকারি কর্মকর্তারা। তবে এ বিষয়ে এখনও চুপ শেভরন। শেভরণের পক্ষ থেকে এখনও চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
গ্যাসের বাড়তি দাম পাওয়ার আশ্বাসেই শেভরন বাংলাদেশে থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পেট্রোবাংলা ও মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, শেভরন নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। তারা গ্যাসের দাম বাড়াতে চায়। উৎপাদন অংশীদারী চুক্তি সংশোধন করে এই গ্যাসের দাম বাড়াতে হবে। প্রস্তাবে প্রতি হাজার ঘনমিটারে গ্যাসের দাম তিন সেন্ট করে বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এখন গ্যাসের দাম আছে দুই ডলার ৭০ সেন্ট। এটা বাড়িয়ে তিন ডলার করার প্রস্তাব করেছে শেভরন। একই সাথে নতুন কম্প্রেসার বসাতে আরও ৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগও করতে ইচ্ছুক তারা।
সম্প্রতি বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, শেভরন আর বাংলাদেশ ছেড়ে যাবে না। তারা ৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। শেভরণ বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।
শেভরণ এর ব্যবস্থাপক শেখ জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, শেভরন নিয়মিতভাবে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ রেখে চলে। আমাদের দীর্ঘস্থায়ী নীতিমালা অনুযায়ী, আমরা সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে এ নিয়ে নির্দিষ্ট কোন বৈঠক করিনি।
শেভরন তাদের বাংলাদেশের সম্পদ চীনের হিমালয়া কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেবে বলে প্রাথমিক চুক্তি করেছে।
শেভরন বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিদেশী বিনিয়োগ করা কোম্পানি। দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস ক্ষেত্র পরিচালনা করে তারা।
বিক্রির বাণিজ্যিক আলোচনা চলছে। সুবিধামতো ও আকর্ষনীয় দর পেলে শেভরনের স্বার্থ বিক্রি করা হবে বলে আগে শেভরন কর্তৃপক্ষ আনুষ্টানিকভাবে জানিয়েছিল।
বাংলাদেশে থাকা সম্পত্তি বিক্রির জন্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছিলো শেভরণ। একাধিক দেশি ও বিদেশী প্রতিষ্ঠান তাদের সম্পদ কেনার আগ্রহ দেখিয়ে ছিল।
একই সাথে বাংলাদেশ সরকারও শেভরণের সম্পদ কিনে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু সেসব এখন আর আলোচনায় নেই।
শেভরনের বাংলাদেশে প্রায় ২০০ কোটি ডলার বা প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা সমমূল্যের সম্পদ আছে। বাংলাদেশে বর্তমানে মোট গ্যাসের অর্ধেকের বেশি শেভরণ উত্তোলন ও সরবরাহ করে। উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তির (পিএসসি) আওতায় জালালাবাদ, মৌলভীবাজার ও বিবিয়ানা এই তিন গ্যাসক্ষেত্রে পরিচালনা করছে তারা।