প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো সংস্কৃতি নেই দাবি করে কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে চন্দন রহমানের ছড়ার বই ‘খোঁচা’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এমন দাবি করেন।
রিজভী বলেন, ‘রাজনীতিতে যত বেশি চন্দন রহমানের মতো সংস্কৃতিমনা মানুষ সম্পৃক্ত হবেন রাজনীতি তত বেশি উৎকর্ষতা পাবে। আর রাজনীতি যখন সংস্কৃতি বিবর্জিত গুণ্ডা-মাস্তান-দস্যুদের হাতে চলে যায়, তখন তা ধ্বংসের দিকে চলে যায়। যেমনটা হচ্ছে আজকের বাংলাদেশে।’
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা যদি সংস্কৃতিমনা হতেন তাহলে জোরপূর্বক ক্ষমতা আঁকড়ে ধরতেন না।যদি তিনি সংস্কৃতিমনা হতেন দেশের জনগণকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জুলুম-নির্যাতন করতেন না।
সংস্কৃতিমনারা সমালোচনা সহ্য করেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘অথচ প্রধানমন্ত্রীর কেউ সমালোচনা করলে আজ ধরে জুলুম নির্যাতন করা হচ্ছে, জেলে পুরে রাখা হচ্ছে।’ সেই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে প্রধানমন্ত্রী নিজের সংস্কৃতিহীন মনোভাব প্রকাশ করে চলেছেন বলে অভিযোগ করেন রিজভী আহমেদ।
বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা, রাজনীতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা দেয়া হযেছে এবং শেখ হাসিনা আদালতকে সরাসরি প্রভাবিত করছেন বলে আবারও অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা আদালতকে প্রভাবিত করেন, ভবিষ্যতেও করবেন। আদালতের রায়ও হবে শেখ হাসিনার ইচ্ছায়। ‘আদালত কী রায় দিবে সেটা আদালতের ইচ্ছা। তবে শেখ হাসিনা আদালতকে সরাসরি প্রভাবিত করছেন।’
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার কথার প্রভাবে ইতোমধ্যে হাসানুল হক ইনুও বলছেন, খালেদা জিয়ার শাস্তি হবে। ইনুর উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, ‘আপনি যে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন তা জনগণ জানে। আপনি মন্ত্রীত্ব ধরে রাখতে এবং শেখ হাসিনাকে খুশি রাখতে বাহাস করছেন তা সবার জানা। সাবধান হয়ে যান, অন্ধকার বেশিদিন থাকে না। আপনার স্বপ্ন একদিন হুড়হুড় করে ভেঙে যাবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক আব্দুল আউয়াল খান এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জুয়েল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইকবাল হোসেন সানু।