প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন: শেখ হাসিনা দেশে ফিরে না এলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্ভব হতো না, যুদ্ধাপরাধী বিচার সম্ভব হতো না। তিনি দেশে ফিরেছেন বলেই আজ বাংলাদেশ সম্পূর্ণ হয়েছে। তার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ আজ দারিদ্রতার গ্লানি সরিয়ে উন্নত দেশের কাতারে জায়গা করে নিতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তারা এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন: এদেশের যা কিছু অর্জন বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ। এর বাইরে কোন অর্জন নেই। শেখ হাসিনা ছিলেন বলেই দেশের সুখ্যাতি বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, দেশকে আকাশচুম্বী উন্নয়নের পথে নিয়ে গেছেন। যারা দেশের অর্জনকে খাটো করে তারা দেশ প্রেমিক নয় দেশদ্রোহী।
“নির্বাচন নিয়ে তারা ইতিপূর্বে (বিএনপি) অনেক খেলা খেলেছিলো। এমনকি তারা ব্যালট বাক্সও হাইজ্যাক করেছিলো। এখন তারা নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা বলে। দেশের জনগণ তাদের কৃতকর্ম ভুলে যায়নি।”
আলোচনা সভায় উপস্থিত হয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন: খালি কলসি নড়াচড়া করে বেশি। আমাদের ভরা কলসি, নড়াচড়া করে না। খুলনা সিটির জনরায়কে যারা প্রত্যাখ্যান করেছে, আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন: বিএনপির কাজই হচ্ছে মিথ্যাচার করা। তারা জনগণের কাছে নালিশ করে না। কারণ জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এ কারণে তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে। বিএনপি মিথ্যাচার ও ভাঙা রেকর্ড বাজাতে বাজাতে গভীর খাদে পড়বে। যা থেকে তারা আর উঠতে পারবে না।
উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন: স্যাটেলাইট থাকা বিশ্বের ৫৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। নিউক্লিয়ার এগ্রিমেন্টেও আমরা রয়েছি। বিশ্বের অন্যতম হায়েস্ট গ্রোয়িং ইকোনমির দেশ এখন বাংলাদেশ। এটা বৈশ্বিকভাবে প্রমাণিত। সেদিন আর দূরে নয় শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশ হবে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন: কোন পত্রপত্রিকা খুলনার নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেনি কিন্তু বিএনপি করেছে। এটা তাদের অভ্যাস। বিএনপি একটি লিমিটেড দল। খুলনার নির্বাচন আবারও প্রমাণ করেছে আমরা একত্রিত থাকলে আমাদের কেউ পরাজিত করতে পারবে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম বলেন: বর্তমান সরকারের উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। দারিদ্র পীড়িত বাংলাদেশ এখন শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশে রূপান্তর হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দমন করা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু হত্যা-যুদ্ধাপরাধী বিচার করেছেন। আগামীতে ২১ আগস্ট হামলারও বিচার করা হবে। বাংলাদেশের আশীর্বাদ শেখ হাসিনা, তাকে ছাড়া বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে না।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল হানিফ বলেন: এই বাংলাদেশে কোন জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের ঠাই নাই। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ভোট চেয়েছে, বলেছে আমাদের নির্বাচিত করুন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো। খুলনার নির্বাচনে জনগণ আবারও প্রমাণ করেছে মানুষ বিএনপিকে চায় না। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের নেত্রী জেল থেকে বের হোক মানুষ চায় না। তারা আওয়ামী লীগের উন্নয়নের সঙ্গে থাকতে চায়।
দলের আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন: বিশ্বের সব থেকে সাহসী নেতার নাম শেখ হাসিনা, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করলে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্ত হবে। তাই আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে এখনই দলের নেতা-কর্মীদের ঘরে ঘরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।