ইফতার ও দোয়া মাহফিলসহ নানা আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। কেন্দ্রীয় এবং মহানগর উত্তরের যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছিল।
রোববার বিকাল ৪টায় মীরপুর-১৪, ঢাকা ডেন্টাল কলেজের সামনে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিলে সংগঠনের অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনা’র দীর্ঘায়ু-সুস্থতা ও সাফল্য কামনার পাশাপাশি শেখ রেহানাসহ পরিবারের সকলের জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া ১৫ আগষ্টে বঙ্গবন্ধুসহ নিহত পরিবারের সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
বর্তমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশে এবং বিদেশে যে সকল বাংলাদেশের নাগরিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ইন্তেকাল করেছেন, তাদের আত্মার শান্তিকামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়। পরে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে প্রায় ৩৫০০ অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে বাবু নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন: স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করলে তখন জিয়ার সামরিক শাসনে দেশ এবং নিজদল আওয়ামী লীগের শোচনীয় অবস্থা ছিল, দলের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে তার নেতৃত্বে দলকে শক্তিশালী অবস্থায় পরিণত করে চারবারের জন্য ক্ষমতায় নিয়ে আসেন এবং দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে ও মডেল রাষ্ট্রে পরিণত করতে সক্ষম হন, যা বিশ্ব দরবারে আজ ব্যাপক প্রশংসিত।
সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন: নেত্রী ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলে আজ বাংলাদেশে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, অসংখ্য ফ্লাইওভার, অসংখ্য ফোর লেন রাস্তা, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মংলায় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলী টানেল, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পায়রা বন্দরসহ অসংখ্য মেগাপ্রকল্প আজ বাস্তবায়নের পথে।
তিনি আরো বলেন: স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রিয় নেত্রীর নির্দেশক্রমে করোনাভাইরাসসহ যে কোনো দুর্যোগের মুহূর্তে অসহায়, দুস্থ এবং সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র নেতা গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু, মোবাশ্বের চৌধুরী, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, কৃষিবিদ এ এফ মাহবুবুল হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি ইসহাক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম নাঈম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক তারখ সাঈদসহ অনেকে।