আগামী ৩ থেকে ৬ অক্টোবর ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কসহ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বেশকিছু বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হবে।
এরমধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আসামে ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অফ সিটিজেন (এনআরসি) থেকে বাদ পড়া নাগরিকদের আলোচনার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, গত জুনে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বৈঠক হবে এই সফরে। গত ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শেখ হাসিনা।
এই নেতার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অনেক জোরালো হয়েছে। তারা যৌথভাবে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, বিশেষ করে যোগাযোগের ক্ষেত্রে।
এই সফরে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও ৪ অক্টোবর শেখ হাসিনা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ভারত অর্থনৈতিক শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদদের মধ্যে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। এনআরসি থেকে বাদ পড়া নাগরিকদের বাংলাদেশে পাঠানো নিয়ে যে আলোচনা-সে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন।
সাধারণ মানুষ তো বটেই আসামের এক রাজনীতিবিদের বক্তব্যের পর বিষয়টি আরও গুরুত্ব বহন করছে। আসামের অর্থমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা কিছুদিন আগে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের যেসব নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে স্থায়ী হয়েছেন” তাদেরকে ফেরত নিতে ভারত বাংলাদেশকে অনুরোধ করবে।
তবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত আগস্টে বাংলাদেশ সফরকালে বলেন, আসামে অবৈধ নাগরিক সনাক্তকরণের বিষয়টি ‘‘ভারতের অভ্যন্তরীণ” বিষয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
এই সফরে শেখ হাসিনা লাখ লাখ রোঙ্গিাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ভারতের সহযোগিতা চাইবে বলেও মনে করছেন অনেকে। এছাড়া ভারতের অর্থায়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি মূল্যায়নসহ পানি বন্টনের বিষয়ও গুরুত্ব পাবে বলে তাদের ধারণা।
ইতোমধ্যে দুই দেশ সন্ত্রাসবাদ দমনে সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে, বিশেষ করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দ্বারা তরুণদের মৌলবাদের দিকে নেয়ার ক্ষেত্রে।