প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৯তম জন্মদিন আজ। জন্মদিন উদযাপনের সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মান চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ পুরস্কারের অভিনন্দন। বিভিন্ন সংগঠনের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে দেশবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন দলের নেতারা।
আজ বাদ মাগরিব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে গনভবনে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করার পাশাপাশি তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে দেশ যাতে আরও এগিয়ে যায় সেজন্য দোয়া করা হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্যদের জন্যও এ মাহফিলে বিশেষভাবে দোয়া করা হয়। গনভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ এ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরের ইমাম হাফেজ মোঃ মনির হোসেন।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৭ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব নেন তিনি। ১৯৯৬, ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি অভিনন্দন জানানো হয় চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ পুরস্কার অর্জনের জন্য।
শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনার পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে জন্মদিন উদযাপন করা হয়।
আলোচনা সভাগুলোতে বলা হয়, শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে কৃষি, পরিবেশ, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে অগ্রগতিতে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে বাংলাদেশ।
আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা তার যোগ্যতা, কর্মতৎপরতা এবং নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের জন্য আরো অনেক সম্মানে ভূষিত হবেন।
বক্তারা মনে করেন, হরতাল-অবরোধ-জ্বালাও পোড়াও না থাকলে শিগগিরই মধ্যম আয়ের দেশের গৌরব অর্জন করবে জাতি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম বলেন, শেখ হাসিনা গ্রামে-গঞ্জে শহরে-বন্দরে মানুষকে শিক্ষায় শিক্ষিত করছেন, দারিদ্র্য বিমোচন করছেন, তরুণদের আধুনিক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।বাংলাদেশকে শান্তিময় করার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস-জঙ্গি দমন করে যাচ্ছেন।
দলীয় সভানেত্রীর জন্মদিন পালনে নানা কর্মসূচি নেয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।