চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শেখ জামাল ও রূপগঞ্জের সহজ জয়

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বোলিং-ব্যাটিংয়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়ে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় নুরুল হাসান সোহানের দল।

শেখ জামালের মতো সহজে জিতেছে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জও। প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে নাঈম ইসলামের দলের জয় ৭২ রানের।

আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৮৩ রান করে খেলাঘর। জবাবে আট ওভার ও পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় শেখ জামাল।

ছোট টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করে শেখ জামাল ধানমন্ডি। জুটিতে ৫০ রান তুলে আউট হন ফারদিন হাসান (২৫)। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তানভীর হায়দারকে সঙ্গে নিয়ে আরও ৩৮ রান তোলেন ইমতিয়াজ হোসেন। ফারদিনের সমান ২৫ রান করে তানভীর ফেরার পরপরই আউট হন ইমতিয়াজ। তিন রানের আক্ষেপ নিয়ে তিনি সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ৪৭ রানে।

ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে অবশ্য ২০ রানের বেশি যেতে পারেননি নাসির হোসেন। অধিনায়ক নুরুল হাসান ফেরেন ২২ রান করে। বড় ইনিংস না খেললেও সব ব্যাটসম্যানরা রান পাওয়ায় জয় পেতে কষ্ট হয়নি শেখ জামালের। জিয়াউর রহমান ২০ ও তাইজুল ইসলাম অপরাজিত ১৫ রান করার পাশাপাশি দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় বড় স্কোর হয়নি খেলাঘরের। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে অমিত মজুমদারই শুধু ৪০ রান করতে পারেন। বাকি চারজনের মিলিত রান ২৮।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৬৬ রান তুলে স্কোরবোর্ড একটু সচল রাখেন রাফসান আল মাহমুদ ও মঈনুল ইসলাম। রাফসান ২৬ রান করে আউট হলেও হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মঈনুল। দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস খেলার পথে ৭০ বলে করেন ৫৫ রান। শেষ দিকে মাসুম খান (১৮) ছাড়া বাকি ব্যাট চালাতে পারেননি।

শেখ জামালের হয়ে তাইজুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ তিনটি করে উইকেট নেন। নাসির হোসেন ও মোহাম্মদ এনামুল নেন একটি করে উইকেট।

অন্য ম্যাচে, প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৬৫ রানের পুঁজি গড়ে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। জবাবে চার ওভার বাকি থাকতে ১৯৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় প্রাইম দোলেশ্বর।

২৬৬ রানের টার্গেটে শুরুটা ভালো হয়নি দোলেশ্বরের। দলীয় ১৩ রানের মাথায় আউট হন সাইফ হাসান (৫)। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫১ রান তুলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন ইমরান উজ্জামান ও মাহমুদুল হাসান।

কিন্তু ২০ রান করা মাহমুদুল আউট হওয়ার পর দ্রুত আরও দুই ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে সমস্যায় পড়ে দল। ৫ রান করে মার্শাল আইয়ুব আউট হওয়ার পরপরই ফেরেন ইমরান উজ্জামান (৩৭)।

৭০ রানে চার উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন সাদ নাসিম ও তাইবুর রহমান। জুটিতে ৮৬ রান তোলার পর আউট হন তাইবুর (৩২)। তবে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন সাদ। ৬২ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন পাকিস্তানি এ ব্যাটসম্যান। এই জুটির সঙ্গে সঙ্গেই কার্যত শেষ হয়ে যায় দোলেশ্বরের ইনিংস।

পরে খাতা খোলার আগে ফেরেন অধিনায়ক ফরহাদ রেজা। শেষ পাঁচ ব্যাটসম্যানের কেউ দুইঅঙ্ক ছুঁতে না পারায় দলের স্কোরও দুইশ স্পর্শ করেনি। ৪৬ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ১৯৩ রানে।

রূপগঞ্জের হয়ে সেরা বোলার মোহাম্মদ শহিদ। ৯ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে চার উইকেট নেন এ পেসার। এছাড়া আকবর-উর-রেহমানের খাতায় যায় দুই উইকেট। বাকি তিনজন বোলার নেন একটি করে উইকেট।

আগে ফাইটিং স্কোর গড়লেও এদিন রান পাননি রূপগঞ্জের দুই ওপেনার। আগের দুই ম্যাচে টানা সেঞ্চুরি করা মেহেদী মারুফ করেন ১৪ রান। মোহাম্মদ নাঈম আউট হন ৮ রানে। তবে দ্রুত দুই উইকেট হারালেও শাহারিয়ার নাফিস ও আকবর-উর-রেহমানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা।

১০৪ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৬৮ রান রান করেন নাফিস। আর পাকিস্তানি আকবর করেন ৬৭ রান। ৮০ বলে ১০ চারে এই রান করেন তিনি। শেষদিকে অধিনায়ক নাঈম ইসলামের ৩১ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে ২৬৫ রানের স্কোর গড়ে রূপগঞ্জ।

চার উইকেট নিয়ে প্রাইম দোলেশ্বরের সফল বোলার ফরহাদ রেজা। এছাড়া আরাফাত সানি, সৈকত আলি ও এনামুল হক জুনিয়র একটি করে উইকেট নেন।