ব্রেন্টফোর্ডের একের পর এক আক্রমণে বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বেশ কয়েকবার দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেভ করে দলকে নিরাপদে রাখার কাজ গেছেন গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া। প্রথমার্ধে গোল হজম না করলেও নিজেরাও জালের দেখা পায়নি রেড ডেভিলস।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য চেনা রূপে ফিরতে ইংলিশ জায়ান্টদের সময় লাগেনি। ইপিএলে প্রতিপক্ষের মাঠে ৩-১ গোলের জয় পেয়েছে রালফ র্যাঙ্গনিকের শিষ্যরা।
আরেক ম্যাচে লেস্টার সিটির বিপক্ষে যোগ করা সময়ে স্টিভেন বের্গজিনের জোড়া লক্ষ্যভেদে ৩-২ গোলের অবিশ্বাস্য জয় ঘরে তুলেছে টটেনহ্যাম হটস্পার।
১৯ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট পাওয়া টটেনহ্যাম বর্তমানে ইপিএলের টেবিলের পাঁচে রয়েছে। দুই ম্যাচ বেশি খেলা ম্যানইউ ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে অবস্থান করছে।
বুধবার রাতে গোলের দেখা পেতে ম্যানইউকে ৫৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ফ্রেডের বাড়ানো বল পেয়ে হেডে বল জালে জড়ান সুইডিশ ফুটবলার অ্যান্থনি এলাঙ্গা।
সাত মিনিট পর ব্রুনো ফার্নান্দেজের অ্যাসিস্ট থেকে বল আদায় করা ম্যাসন গ্রিনউড ডান পায়ে লক্ষ্যভেদ করেন। রেফারি ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোল নিশ্চিত করেন।
৭৭ মিনিটে ম্যানইউর পাওয়া তৃতীয় গোলে আবারো ভূমিকা রাখেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। তার পাসে বল নিয়ে ডান প্রান্ত থেকে নেয়া কিকে গত নভেম্বরের পর আবারো জালের দেখা পান বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামা মার্কাস রাশফোর্ড।
খেলার ৮৫ মিনিটে ব্রেন্টফোর্ডের হয়ে সান্ত্বনাসূচক গোল করে ব্যবধান কমান ইভান টনি।
টটেনহ্যামের অবিশ্বাস্য জয়
কিং পাওয়ার স্টেডিয়াম রোমাঞ্চকর এক ম্যাচের সাক্ষী হয়েছে। ২৪ মিনিটে প্যাটসন ডাকার গোলে লিড পায় টটেনহ্যাম। এরপর অবশ্য দুই গোল হজম করে তারা পরাজয়ের প্রহর গুনছিল।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে হ্যারি কেইন বাঁ পায়ের শটে সমতা টানেন। বিরতির পর জেমস ম্যাডিসনের নিশানাভেদে লেস্টার লিড পেলে তারা জয়ের সুবাস পেতে থাকে।
নাটক তখনো বাকি ছিল। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষের পরও যোগ স্কোরলাইন ২-১। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ম্যাট ডোহের্টির পাসে বল নিয়ে স্টিভেন বের্গজিন গোল করে বসলে ড্রই ছিল অবধারিত ফল।
অথচ দুই মিনিট পর আকস্মিক পাল্টা আক্রমণ থেকে কেইনের বাড়ানো বল নিয়ে প্রতিপক্ষকে স্তম্ভিত করে বের্গজিন আবার বল জালে পাঠালে টটেনহ্যাম অবিশ্বাস্যভাবে জয় ছিনিয়ে নেয়।