বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডে দুর্দান্ত বোলিং করলেন ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের অফস্পিনার শুভাগত হোম। তার ঘূর্ণিতে প্রথমদিনে ২৬০ রানে অলআউট দক্ষিণাঞ্চল। শুভাগত একাই নিয়েছেন ৬টি উইকেট। আবু হায়দার রনি ও শরিফুল্লাহ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
জবাবে প্রথমদিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪ রান তুলেছে মধ্যাঞ্চল। ২ ওভার বল করে ৩ রান দিয়েছেন আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে নামা মোস্তাফিজুর রহমান।
বিকেএসপির-৩ নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় দক্ষিণাঞ্চল। শুরুর তিনটি উইকেটই নেন শুভাগত।
পরে তুষার ইমরান ও মোহাম্মদ মিঠুন চেষ্টা চালান দলের ইনিংস টেনে নিতে। দলীয় শতরানে পৌঁছার পর মিঠুন আবু হায়দারের বলে বোল্ড হলে ভাঙে চতুর্থ উইকেট জুটিটি। আউট হওয়ার আগে ৪২ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
সেখান থেকে তুষার লড়াই চালিয়ে যান আল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে। দলীয় ২০৩ রানের সময় ব্যক্তিগত ৮১ রানে ফেরেন তুষার। ভাঙে ৯১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটিটি। এরপর অবশ্য দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণাঞ্চল। শেষ দিকে সোহাগ গাজীর ৪৭ বলে ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে আড়াইশ পেরোয় দলটি।
দিনের অপর ম্যাচে বিসিবি উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে বড় সংগ্রহের পথে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল। দিনশেষে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৯৩ রান। জাকির হাসান ৪৮ ও ইয়াসির আলি ১০ রানে অপরাজিত আছেন।
লংগার ভার্সন ক্রিকেটে অভিষিক্ত আফিফ হোসেন ধ্রুব পেয়েছেন শতকের দেখা। ১০৫ রান করে আউট হন এ বাঁহাতি ওপেনার। শনিবার বিসিএলে খেলার মাধ্যমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় আফিফের। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সহ-অধিনায়ক। ম্যাচের প্রথমদিন বিসিবি উত্তরাঞ্চলের বোলারদের ঘাম ছুটিয়ে ছাড়েন বিকেএসপির এই ক্রিকেটার। ২০৯ মিনিট উইকেটে থেকে করেন ১০৫ রান। ১৭১ বলে ১৪টি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি।
৮১ রানে ফেরেন অপর ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন তান্না। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে যোগ করেন ১৯৭ রান।
ইয়াসিন আরাফাত দুটি ও নাসির হোসেন নিয়েছেন একটি উইকেট।