চীন থেকে শুরু হলেও বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাসের কেন্দ্রস্থল এখন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে, যা সারাবিশ্বের মোট আক্রান্তের এক তৃতীয়াংশ। বিশ্বে মোট করোনায় আক্রান্ত এখন ৩১ লাখের অধিক, আর মৃত্যুবরণ করেছে প্রায় ২ লাখ ১৮ হাজার।
মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকেও সবার ওপরে আছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৫ শ মৃত্যুসহ মোট মারা গেছে ৫৯ হাজারের অধিক, যা ভিয়েতনাম যুদ্ধে নিহতের চেয়ে বেশি।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৪৭০ মারা গেছে। গত একদিনে মোট আক্রান্ত হয়েছে ২৫ হাজার ৪০৯ জন। সব মিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৭৬৫ জন। সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ২৩৫ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩৬১ জন। এদের মধ্য ১৫ হাজার ২৯৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ১৮ দিনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। গত ১১ এপ্রিল দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ লাখ। মোট আক্রান্তের ৩০ শতাংশই নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা সেন্টারের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, নিউইয়র্কে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখের বেশি। সেখানে মারা গেছে প্রায় ২৩ হাজার জন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মার্কিন প্রশাসন বেইজিংয়ের করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জোড়ালো তদন্ত চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চীনের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে। এই মহামারীর জন্য চীনকে দায়ী করার অনেকগুলো কারণ আছে। কঠোর তদন্ত চলছে। চীনের প্রতি আমরা খুশি নই। ভাইরাসের উৎসেই এই করোনা ধ্বংস করা যেতো বলে আমরা বিশ্বাস করি। তখন দ্রুত এটি থামালে সারাবিশ্বে ভাইরাসটি ছড়াতো না।