বাবা থাকতেন প্রবাসে। মায়ের কোলেপিঠে বেড়ে ওঠা নাঈম শেখের। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছিলেন মা। প্রবাসী স্বামীকে ছেলের ফলাফল জানাতে খুব সংকোচ হচ্ছিল তার। নাঈমের যন্ত্রণা তাতে আরও বাড়ছিল। তবুও ক্রিকেট ছাড়েননি। একাডেমিক ব্যর্থতা থেকেই বুনেছেন ক্রিকেটার হওয়ার বীজ।
সময় গড়িয়েছে, নাঈম ছুটছেন রানের পিছু। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে হয়ে উঠেছেন ‘রানমেশিন’। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট, প্রিমিয়ার লিগ, জাতীয় দল, বিপিএল- ধাপে ধাপে সব পরীক্ষাতেই লেটার মার্কস নিয়ে ২০ বছরের এ তরুণ হাঁটছেন বড় স্বপ্নের পথে। ‘সেরা হওয়ার’ প্রবল ইচ্ছা থেকেই মিলছে ধারাবাহিক সাফল্য।
ফরিদপুর সদর থেকে উঠে আসা বাংলাদেশ টি-টুয়েন্টি দলের ওপেনার, প্রবল সম্ভাবনাময় নাঈম চ্যানেল আই অনলাইনকে শুনিয়েছেন ছোট্ট ক্রিকেট জীবনের আদ্যোপান্ত।
যেভাবে শুরু
বাসা থেকে ফরিদপুর জেলা স্টেডিয়াম ২০ মিনিটের পথ। গোয়ালচামট ১নং সড়ক থেকে অনুশীলন করতে নাঈম চলে যেতেন পায়ে হেঁটেই। অনূর্ধ্ব-১৮ পর্যায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বাদ পড়েন প্রথমবার। পরের বছর উত্তীর্ণ হয়ে ১০ ইনিংসে করেন ৩৩০ রান। সেই বছর ডাক পাননি অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। ফরিদপুর জেলার নামকরা ক্রিকেটার তখন আশরাফুল আলম আসিফ। ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ খেলেছেন, পরিশ্রমী ও পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে বেশ খ্যাতি ছিল তার। আসিফের কথাতেই ক্রিকেটে আরও বেশি নিবিষ্ট হন নাঈম।
‘আসিফ ভাই একদিন বললেন, এত কম প্র্যাকটিস করে যখন ভালো খেলতে পেরেছ, যদি আরও মনোযোগ দিয়ে বেশি করো তাহলে আরও ভালো করতে পারবে।’
তখন অনুশীলন অনেক বাড়িয়ে দেই। এইচএসসি’র রেজাল্ট খারাপ হয়েছিল। আমাদের কোচ মোখলেসুর রহমান বাবলু স্যার আসিফ ভাইকে অনেক পছন্দ করতেন। আমি ভাইয়ের সঙ্গে অনেক প্র্যাকটিস করতাম। স্যার আমার বাড়তি কাজ দেখে অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। অনূর্ধ্ব-১৮ দলে তখন আমার শেষ বছর। চিন্তা ছিল এবার আমাকে ভালো করতেই হবে। এ মানসিকতা নিয়ে বেশি প্র্যাকটিস করতাম। পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ায় আম্মুর মন খুব খারাপ ছিল। তখন আমার চাওয়া ছিল ক্রিকেট খুব ভালোমতো খেলতে হবে। যেহেতু এটাই শেষ বছর। তখন থেকে বুঝেছি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে পারফর্ম আসে না।
তখন একটা ছেলে ৫০০ রান করেছিল ১২ ইনিংসে। যেবার আমি ৩৩০ করি। আসিফ ভাই বলেছিল, ‘ওই ছেলে যদি ১২ ইনিংসে ৫০০ করতে পারে তুমি ৬০০ কেনো করতে পারবে না।’
পরের মৌসুম যখন খেলছি, ৫ ইনিংসে ৪০০ রান করেছিলাম। ওটাই সর্বোচ্চ রান। আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম জেলায়। পরে ডিভিশনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। ১২ ইনিংসে ৬১৫ রান করেছিলাম। ওটা সর্বোচ্চ রান। তারপর নাইনটিনে চ্যালেঞ্জ সিরিজ হল, ওখানে চার ইনিংসে একটা সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটিতে সর্বোচ্চ রান করলাম। ওয়ানডেতে একটায় ১৪৭, অন্যটিতে ৬৭। টেস্টে ইনিংস দুটি ছিল- ২৬ ও ৫৩ রানের। তখন নির্বাচক ছিলেন হান্নান সরকার স্যার। এহসানুল হক সেজান স্যারও ছিলেন। হান্নান স্যার অনেক বোঝাতেন। ভালো সময় কীভাবে লম্বা করতে হবে, খারাপ সময়ে কীভাবে টিকে সার্ভাইভ করতে হবে। এগুলো অনেক সাহায্য করেছে আমাকে। তারপর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেললাম। নিউজিল্যান্ডে ২০১৮-এর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেললাম।
প্রিমিয়ার লিগ, সাফল্য ও আক্ষেপ
যুব বিশ্বকাপ শেষে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে প্রথমবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। পেশাদার জগতে এসেই বড় ধাক্কা খান নাঈম। প্রথম চার ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি। পরে ১২ ম্যাচে খেলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় উঠে আসেন দশ নম্বরে। চার ফিফটিতে করেন ৫৫৬ রান। ১৬ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৭৪৯ করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রিমিয়ার লিগের সবশেষ আসরে উঠে আসেন দুই নম্বরে। রূপগঞ্জের হয়ে ১৬ ম্যাচে করেন ৮০৭ রান। পাঁচ ফিফটি ও তিন সেঞ্চুরি। গড় ৫৩.৮০, স্ট্রাইকরেট ৯৪.৩৮। সর্বোচ্চ ইনিংস ১৩৬ রানের। সর্বোচ্চ ৮১৪ রান করেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সতীর্থ ও অধিনায়ক সাইফ হাসান।
‘চিন্তা ছিল সেরা পাঁচে থাকব। দ্বিতীয় হবো ভাবিনি। পরিকল্পনা ছিল পাঁচটা ফিফটি যেভাবেই হোক করব। দুইটা সেঞ্চুরির লক্ষ্য ছিল। লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি। তখন বুঝলাম নিজের সক্ষমতা জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভালো খেলার জন্য স্ট্রেন্থ বোঝা জরুরী।’
ভারত সফরে বাজিমাত
ধারাবাহিকভাবে রান করার সুবাদে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজে ডাক পান নাঈম। ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। অক্টোবরে ভারত সফরে পা রাখেন আন্তর্জাতিক আঙিনায়। তিন ম্যাচ সিরিজে করেন সর্বোচ্চ ১৪৩ রান। শেষ ম্যাচে ৪৮ বলে খেলেন ৮১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
‘জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে ম্যাচ পাইনি। বিশ্বাস ছিল সুযোগ আসবে। সুযোগটা কাজে লাগাতে পেরেছি। সিরিজ জিততে পারলে খুব ভালো লাগত। নিজে ভালো খেললাম দল জিতল না, সেটাতে মজা আসে না।’
৮১ রানের ইনিংসটা তিন নম্বরে
‘এর চেয়েও ভালো ইনিংস খেলেছি বলে আমার মনে হয়। চ্যালেঞ্জ সিরিজে একটা ম্যাচে ১৪৭ করেছিলাম। ওটাই আমার সেরা। প্রিমিয়ার লিগে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ১৩৬ রান, ওটা দুই নম্বরে থাকবে। ভারতের বিপক্ষে ৮১ তিন নম্বরে রাখব। টি-টুয়েন্টির দিক থেকে এক নম্বরে থাকবে। হয়তো সামনে আরও ভালো ভালো ইনিংস খেলব। কিন্তু বয়সভিত্তিক পর্যায়ে ওই লেভেলে ১৪৭ রান, ওটা আমার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। বড় রান করা সম্ভব- এই উপলব্ধি তখন পেয়েছি। কতটুকু কী করতে পারি বুঝেছিলাম সেদিন। ভারতের বিপক্ষে ৮১ করার পর ওই ভালো বলটা যদি না হতো। যদি দলকে জেতাতে পারতাম, ভালো লাগত। জেতার ব্যাপারটা অন্যরকম। জিতলে একটা দলের অনেক কিছুতে পরিবর্তন আসে।’
সেরা হওয়ার মনচ্ছবি
‘আমার সবসময় রান করতে ভালো লাগে। ভালো না খেললে কিন্তু রান করা যায় না। যখন থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি, তখন থেকেই কোচ ও বড় ভাইরা বলত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা। প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলে ক্রিকেটে আলাদা একটা মজা আছে। যেখানেই খেলি ইচ্ছা থাকে এক নম্বর হওয়া, সবার আগে আগে থাকতে ভালো লাগে। আমার তো একটাই সাইড, ব্যাটিং ও ওপেনার। সবসময় চিন্তা থাকে যেখানেই খেলি টপ ফাইভে থাকতেই হবে। শুরু থেকে যেখানেই খেলেছি এক নম্বর হয়েছি। বিভাগে এক নম্বর হয়েছি। চ্যালেঞ্জ সিরিজে এক নম্বর হয়েছি। নাইনটিনে ভালো খেলেছি। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে আমার চেয়ে অনেক ভালো খেলোয়াড় ছিল। তখন নিজের কোয়ালিটি বুঝতাম না যে কীভাবে ভালো করা যায়। ওদের(আফিফ-সাইফ) সঙ্গে মিশতে মিশতে আসলে অভিজ্ঞতা হয়েছে। বুঝতে পেরেছি। ভেতরে ভেতরে কাজ করত সবাইকে টপকাব। এটা আমার ভেতরে সবসময় কাজ করে। এখনও করে। বিপিএলে সেরা পাঁচে আছি। খারাপ-ভালো যতদিন খেলব সবসময় যেন সেরা হওয়ার ইচ্ছাটা ধরে রাখতে পারি।’
ওয়াটসন যা বলেছেন নাঈমকে
অস্ট্রেলিয়ান তারকা ক্রিকেটার শেন ওয়াটসন ও নাঈম শেখ বিপিএল খেলছেন ইনসেপ্টা রংপুর রেঞ্জার্সের হয়ে। ইনিংসের গোড়াপত্তন তারাই করছেন। ওয়াটসন চ্যানেল আই অনলাইনকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, নাঈম সুপার স্কিলড ব্যাটসম্যান। নাঈম জানালেন ওয়াটসনকে দেখে তার অভিজ্ঞতা।
‘ওয়াটসন অনেক বড় লিজেন্ড। তার কাছ থেকে ভালো মন্তব্য পাওয়া অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার। সবসময় ভালো জিনিস নেয়ার চেষ্টা করি। ওয়াটসন পাঁচটা ম্যাচ খেলল। প্রথম ম্যাচে যেমন চাল-চলন, শারীরিক ভাষা, ড্রেসিংরুম শেয়ারিং। প্রথম চার ম্যাচে খারাপ করার পরও একই। আমরা একটু খারাপ খেললেই কিন্তু ভেঙে পড়ি। তার জিনিসটা দেখলাম সবসময় একরকম। পজিটিভ থাকে। কারণ নিজের স্ট্রেন্থ জানে। ভালো খেলুক খারাপ খেলুক একভাবেই থাকার চেষ্টা করে। কারণ জানে ভালো খেললে কী করতে পারে। ব্যাপারটা খুব ভালো লেগেছে। আমার সঙ্গে অনেককিছুই শেয়ার করেছে। বলেছে, টি-টুয়েন্টি সবসময় অ্যাটাকিং ক্রিকেট। পাওয়ার প্লে’র পর আমি একটু স্লো হয়ে যাই। বলেছে ইনটেনসিটি সবসময় হাই রাখতে, আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে। শেয়ার করার মতো অনেক কথাই বলেছে। ইতিবাচক থাকতে আর কখনো নিজের জন্য যেন না খেলি বলেছে। আরও অনেককিছু, বলে শেষ করা যাবে না।’
১০ ম্যাচে ৩৩৮ রান, কিন্তু স্ট্রাইকরেট ১১৮
‘স্ট্রাইকরেট নিয়ে চিন্তা করছি না। প্রিমিয়ার লিগে একশর কাছাকাছি স্ট্রাইকরেট ছিল। টি-টুয়েন্টিতে ১২০-এর কাছাকাছি খুব খারাপ নয়। আস্তে আস্তে এটা বাড়বে। ম্যাচ পরিস্থিতি ও দলের চাহিদা কী এটার উপর অনেককিছু নির্ভরে করে। আমার দল যদি পয়েন্ট টেবিলের এক-দুই নম্বরে থাকত, হয়ত স্ট্রাইকরেট ১৩০-এর বেশি থাকত। তখন এত রান নাও হতে পারত। আবার বেশিও হতে পারত। টিম ডিমান্ড অনেককিছু।’
ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনাহীন
‘ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করি না। সবসময় সুস্থ ও ফিট থাকতে চাই। ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করি না। ‘‘ডে বাই ডে’’ চিন্তা করি। এত বড় লেভেলে খেলব চিন্তা করিনি। এখন কোনো চিন্তা নেই। সামনের ম্যাচ ভালো খেলতে হবে যেভাবেই হোক। একটা একটা চিন্তা করি। খারাপ গেলেও যে চিন্তা ভালো করলেও একই। উপভোগ না করলে ভালো খেলা যায় না। ভালো খেললেই সেটি উপভোগ্য এমনও না। সব ম্যাচের আগেই চিন্তা করি আজ উপভোগ করব, ভালো খারাপ যাই হোক। অনুশীলনেও তাই। ভাবি আজকের নেট সেশন, ফিল্ডিং সেশন, ফিল্ডিং সেশন উপভোগ করব।’
শেখার আছে অনেক
‘চাই সিনিয়র খেলোয়াড়দের কাছে শিখতে। ভারত সিরিজে ভালো খেলার পেছনে আমি তো একা না। কোচ ও সিনিয়র খেলোয়াড়দেরও অবদান আছে। প্রথম দুই ম্যাচে একই জায়গায় আউট হয়েছি, একই ভুল করে। ফ্লাইটে যখন নাগপুর যাচ্ছিলাম, মুশফিক ভাই বলেছে স্পিনে টার্নের বিপরীতে মেরে আউট হয়েছি। বোলার গুগলি মেরেছে। স্লগ সুইপ মেরে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছি। মুশফিক ভাই টার্নের দিকেই খেলতে বলেছে। যখন লেগস্পিনার গুগলি করে তখন তো স্ট্রেইট, কাভারে আমার জন্য সহজ হবে। শেষ ম্যাচে কোনো স্লগ সুইপ খেলেনি। একটা সুইপ মেরেছি স্কয়ার লেগ দিয়ে। মিড উইকেটে যা খেলেছি সব মাটি কামড়ে। ছয়-চার যা মেরেছি তা ছিল স্ট্রেইট, কাভার, পয়েন্ট দিয়ে। কয়েকটি পুল শটে। মুশফিক ভাইয়ের ওই কথাটা এখনও মাথায় কাজ করে। ভারত সিরিজের পর একটা ম্যাচে স্লগ সুইপ মেরে আউট হয়েছি। বিপিএলের শেষ ম্যাচেই সেটি। স্লগ সুইপ নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।’
যে আক্ষেপ কখনো ভুলবেন না
‘এসএ গেমসের ফাইনাল ম্যাচটা খেলতে পারিনি পারফরম্যান্সের জন্য। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে খেলায়নি। মন থেকে চাওয়া ছিল বিপিএলে যেন ভালো কিছু করতে পারি। এসএ গেমসের ফাইনাল আমার মনে থাকবে যতদিন খেলব। স্বর্ণজয়ী দলের একাদশে থাকতে পারিনি। ভেতরে ভেতরে চিন্তা ছিল বিপিএলটা খুব ভালো খেলতে হবে। জেদ কাজ করেছে। খুবই খারাপ লেগেছে বলে বোঝাতে পারব না। এতটা খারাপ কখনোই লাগেনি। যুব বিশ্বকাপ খেলে আসার পর প্রিমিয়ার লিগে ৪ ম্যাচ বসে ছিলাম। আর এটি একটি। এই পাঁচটা সবসময় মনে থাকবে।’
বন্ধুদের আড্ডায় ক্রিকেট
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলা চার ক্রিকেটার এখনও খুব কাছের বন্ধু। নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন, সাইফ হাসান, মাহিদুল অঙ্কন। ভবিষ্যৎ ক্রিকেটারদের আড্ডায় থাকে ক্রিকেটের আলোচনা, ‘আমাদের সবার মানসিকতা একইরকম থাকে। আজ ভালো না হলে কাল হবে। এই ম্যাচ জিতিনি পরের ম্যাচ জিতব। আমরা নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখি। সবাই সবার স্ট্রেন্থ খুব ভালো করে জানে। খুব বেশি ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতে হয় না। সবাই সবার ভালো চায়। আমরা চারজন এতই মিশি যে সবাই সবার সবকিছুই জানি। একে অন্যকে খুব বেশি ভরসা করি মাঠ ও মাঠের বাইরে। জাতীয় দলে যখন আমরা সতীর্থ হবো, তখন খুব ভালো হবে।’