ঈদ অথবা যেকোন উৎসব উপলক্ষে জামদানি শাড়ির কদর বহুদিনের। এবারের ঈদে জামদানি কিনতে ঢুঁ মারতে পারেন ডেমরার ঐতিহ্যবাহী জামদানির হাটে। বাহারী রঙের জামদানি পসরা সাজিয়ে বসা এ হাটে জামদানি কেনা যাবে খুবই অল্প দামে, আর মানও ভাল।
শত বছর ধরে ডেমরার শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এভাবেই বসছে জামদানির হাট। এখানে তাঁতিদের তাঁত চলে যে গতিতে তার চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে বিক্রি হয় জামদানি শাড়ি।
দূর-দূরান্তের ও স্থানীয় জামদানির ব্যবসায়িরা রাত তিনটার পর থেকেই হাটে আসতে থাকেন। ফজরের নামাজের পরপরই রূপগঞ্জ, ডেমরা ও তারাবোর জামদানি তাঁতিরা সারা সপ্তাহের তৈরি করা একটা দুটো শাড়ি নিয়ে হাটে আসতে শুরু করেন।
পাশাপাশি সাধারণ ক্রেতারাও হাটে চলে আসেন সেই সাত সকালেই। স্থানীয় জামদানি ব্যবসায়ি ও তাঁতিরা জানালেন প্রতি হাটবারে ৬ থেকে ৮ হাজার শাড়ি বিক্রি হয়। এ হাট স্থায়ী হয় প্রতি শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টা। ১ হাজার ৮শ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামের জামদানি শাড়ি বিক্রি হয় এই হাটে।
পাইকারীর পাশাপাশি বিক্রি হয় খুচরাও। প্রতি হাটে জামদানি বিক্রি হয় প্রায় তিন কোটি টাকার। তবে তাঁতিদের অভিযোগ ভারতীয় শাড়ির প্রভাবে মার খাচ্ছে দেশে তৈরি ঐতিহ্যবাহী জামদানি। তাঁতিদের দাবি, জামদানির ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে, এই খাতে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে সরকারকে।
তবে এ ধরণের হাটে দালাল বা এক শ্রেণির ফরিয়াদের পদচারনা বেশি, তাই সাবধানতা জরুরি। জামদানি শাড়ি কিনতে হলে যথেষ্ট না হলেও কিছুটা অভিজ্ঞতা থাকতেই হবে।