চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শীঘ্রই নতুন ৩ রুটে চলবে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’

অনুমোদনহীন বাস জব্দ করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে

সবুজ গুচ্ছের (গ্রীন ক্লাস্টার) নতুন ৩ রুটে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ চালুর ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। 

আজ সোমবার বিকেলে ডিএসসিসি প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২১তম সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ ঘোষণা দেন তিনি।

মেয়র বলেন, ‘গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সফলতার সাথে বাস রুট রেশনালাইজেশনের পরীক্ষামূলক যাত্রাপথ হিসেবে ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত আমরা চালু করি। প্রথম যাত্রাপথ আমাদের ২১ নম্বর যাত্রাপথ। এটা সবুজ গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত। সেই সবুজ গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত ২২, ২৩ ও ২৬ নম্বর যাত্রাপথ আমরা চিহ্নিত করেছি। এই তিন যাত্রাপথে আমরা কার্যক্রম পরিচালিত করব। ২২ নম্বর যাত্রাপথ হিসেবে ঘাটারচর থেকে ভুলতা পর্যন্ত চলবে নগর পরিবহনের বাস। ২৩ নম্বর যাত্রাপথ ঘাটারচর থেকে মেঘনা ঘাট পর্যন্ত। ২৬ নম্বর যাত্রাপথ হচ্ছে ঘাটারচর থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত।’

নতুন তিন যাত্রাপথ কবে নাগাদ চালু হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, ‘এসব রুটে আরও ভালো সেবা দিতে কী ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, কী কী অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে, এজন্য পরামর্শকরা কাজ শুরু করেছেন। আগামী সভায় তারা নতুন যাত্রাপথের প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা কমিটির কাছে জমা দেবে। পরে আমরা ভবিষ্যত করনীয় নির্ধারণ করে দ্রুততার সাথে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই কাজটি করতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে।

চালু হওয়ার রুটে অন্য বাস চলাচল বন্ধের বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘অনুমোদনহীন বাস জব্দ করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও কঠোর হবো।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে সভায় অংশ নেন। চার আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণে সময়বদ্ধ সূচির ওপর গুরুত্বারোপ করে

উত্তর সিটির মেয়র বলেন, ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের সফলতা ও ঢাকার ওপর বাসের চাপ কমা পরস্পর সম্পৃক্ত। সেজন্য আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণে আমাদেরকে সুনির্দিষ্ট সময়সূচি নিয়ে কাজ করতে হবে। এজন্য ডিটিসিএ আগামী সভায় চার আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণে সুনির্দিষ্ট সময়সূচী ও কর্মপরিকল্পনা দাখিল করবে।’

সভার শুরুতেই দক্ষিণ সিটি ও উত্তর সিটির মেয়রদ্বয় ঢাকা নগর পরিবহন পরিচালনায় বিআরটিএ ও ট্রাফিক পুলিশের জোরদার ও দৃশ্যমান ভূমিকা না থাকায় উষ্মা প্রকাশ করেন। এ সময় মেয়রদ্বয় ঢাকা নগর পরিবহন সেবা ফলপ্রসূ ও কার্যকর করার জন্য বিআরটিএ ও পুলিশকে আরও বেশি দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে রাজউক চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিনসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।