সিলেটে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনের খুনিদের ধরতে রাতভর অভিযান চালিয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত মূল অপরাধী কামরুলের দেশ ত্যাগের ওপরে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গুজব ছড়িয়েছে, কামরুল ঘটনার পরপরই দেশ ছেড়েছে। নিহত রাজনের পিতা মাইক্রোবাস চালক শেখ আজিজুর রহমানও একইরকম দাবি করেছেন। হত্যাকারীদের ধরতে প্রশাসনের প্রতি ১২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে এলাকাবাসী।
অভিযানে চিহ্নিত অপরাধীদের এক আত্নীয়কে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) ফয়সাল মাহমুদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, হত্যাকারীদের বাড়িঘর, আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য যেসব জায়গায় তারা থাকতে পারে সব জায়গায় অভিযান চলছে। রাতে একজনকে আটক করা হয়েছে, যে খুনিদের বিষয়ে তথ্য দিতে পারে।
সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানা এলাকায় ঘটে যাওয়া ওই ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করে ঘটনাটির ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয় হত্যাকারীরা।
উপ-কমিশনার বলেন, এমন অমানবিক ঘটনায় দায়ীদের ধরতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, ।
রাজনকে হত্যার পরে লাশ গুম করার সময় একজনকে পুলিশ আটক করে। নিহত রাজন সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের মাইক্রোবাস চালক শেখ আজিজুর রহমানের ছেলে।
মঙ্গলবার সিলেটের কুমারগাঁও উপজেলার বাস স্টেশন এলাকার সুন্দর আলি মার্কেটের সামনে এ হত্যার ঘটনা ঘটে । শিশুটি আদৌ চুরি করেছিলো কিনা সে বিষয়ে কেউই কিছু বলতে পারেনি। অথচ তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় ৪ জনকে আসামী করে মামলা করে। শিশুটির মৃত্যুর পর লাশ গুম করার সময় মুহিতকে আটক করে পুলিশ।
বিকেলে প্রতিবাদ
রাজন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে সোমবার বিকেল ৩টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় সিলেটের সব শ্রেণী পেশার মানুষ সমাবেশ করবেন। থাকবেন জাতীয় দলের হয়ে খেলা সিলেটের সাবেক ক্রিকেটাররাও।