চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

শিশু নির্যাতন ও হত্যা বন্ধে করণীয় কী?

শিশু নির্যাতন ও হত্যা বাড়ায় উদ্বেগের মধ্যেই এ বিষয়ে আশার বাণী শোনা গেছে। এই নিপীড়ন ও হত্যায় যারা জড়িত, তাদের কঠোর শাস্তির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া শিশু-কিশোরদের সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন। ঘাতকরা পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর সাথে শেখ রাসেলকেও নির্মমভাবে খুন করেছিল। এর ধারাবাহিকতায় এখনও দেশে শিশুদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চলছে।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেও একথা উঠে এসেছে। তিনি বলেছেন: এই বিচারহীনতার প্রভাব সমাজে পড়েছে। আজকে আমরা দেখি শিশুদের ওপর অমানবিক নির্যাতন। সেই সময় যদি শিশু ও নারী হত্যার বিচার করা হতো তাহলে মানুষের মধ্যে একটা ভীতি থাকতো। দেশে এই ধরনের অমানবিকতা তৈরি হতো না। কী অমানবিক অবস্থা। বাবা হয়ে সন্তান হত্যা করে, অন্যকে ফাঁসানোর জন্য!

শিশু তুহিনের হত্যাকাণ্ডের খবর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে শিশু তুহিন খুনের নৃশংস ঘটনায় তার বাবা, তিন চাচা ও চাচতো ভাই জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিবেদনে পুলিশের বরাতে জানা যায়: প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ঠাণ্ডা মাথায় বাবা-চাচারা মিলে খুন করে ৫ বছর বয়সী শিশু তুহিনকে। ঘুমন্ত শিশুটিকে বাবা আব্দুল বাছির কোলে করে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। বাবার কোলেই ঘুমন্ত অবস্থায় শিশু তুহিনকে ছুরি দিয়ে জবাই করে চাচা নাসির উদ্দিন। এসময় নাছিরকে সহযোগিতা করে শিশু তুহিনের চাচা মছব্বির, জমসের ও চাচাতো ভাই শাহরিয়া।

মানবতা আর নীতি নৈতিকতার কতোটা অধঃপতন হলে ঘুমন্ত শিশুকে বাবার কোলে রেখে চাচা ও চাচাতো ভাইরা মিলে হত্যা করতে পারে, তা ভাবতেই গা শিউরে ওঠে। এর আগে সিলেটে ১৩ বছরের সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যা এবং খুলনায় মলদ্বার দিয়ে হাওয়া ঢুকিয়ে ১৩ বছরের রাকিব হাওলাদারকে খুন করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত শিশু ধর্ষণসহ নানা ধরনের নির্যাতনের ভয়াবহ খবর গণমাধ্যমে উঠে আসে। তবে বেশিরভাগই খবরের আড়ালে থেকে যায়।

এমন পরিস্থিতি একদিনে তৈরি হয়নি বলেই আমরা মনে করি। বিভিন্ন সময়ে অপরাধীরা কঠোর বিচারের আওতায় না আসায় এমনটা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর অপরাধীরা এখন থেকে ছাড় পাবে না বলেই আমাদের আশাবাদ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে শিশু নির্যাতন ও হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানাচ্ছি।