চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শিশু ধর্ষণের দায় মেয়েটির শিশু ভাইয়ের ওপর চাপিয়ে ভাইটিকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় একটি ইংরেজি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অভিযুক্ত ধর্ষক শাহ আলমসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারও করতে বলেছেন আদালত।
১৫ জুন পুলিশকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা না নেয়া কেনো বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রিট আবেদনে জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ইউনিয়নে দরিদ্র রিকশাচালক বাবার ১২ বছরের শিশু কন্যাকে নাতনি সম্বোধন করে কাছে রাখতেন স্থানীয় সমাজপতি শাহ আলম। একসময় শিশুটি অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়লে শাহ আলমের হুমকিতে একটি ক্লিনিকে শিশুটির গর্ভপাত করান তার মা।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ভিক্টিমের মায়ের মামলা গ্রহণ করতে রাঙ্গুনিয়া থানার অস্বীকৃতিকে কেনো অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং আসামী শাহ আলমের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা সেই মর্মে ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আরো বলেন,ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকায় ২৩ মে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে সেটিকে এফআইআর হিসেবে গণ্য কওে আসামী শাহ আলম এবং অন্যান্যদের গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে। রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে আগামী ১৫ জুন আদালতে লিখিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় জনসাধারণের বিক্ষোভের মুখে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ অভিযুক্ত শাহ আলমকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়। ধর্ষণকারীকে বাঁচাতে শিশুটির ১৫ বছর বয়সী আপন ভাইকেই ধর্ষক সাজিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে রিট করলে রুল জারি করেন বিচারপতি কাজী রেজাউল হক এবং বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রুলের পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশও দেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার, রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি এবং মামলার আইওসহ দশজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।