পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ১০ বছর বয়সী এক গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে কারাদণ্ড পাওয়া বিচারক ও তার স্ত্রীর সাজা কমিয়ে এক বছর করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
ইসলামাবাদের ওই বিচারক রাজা খুররম আলি এবং তার স্ত্রী মাহিন জাফর দুইজনই তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট বিচারক দম্পতির সাজা কমানোর কারণে খুব দ্রুতই তারা মুক্তি পাবে। কৌঁসুলিরা সাজা কমানোর এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করছেন।
বিবিসি জানায়, তায়াবা নামের মেয়েটি ইসলামাবাদের বিচারক রাজা খুররম আলি খানের বাসায় গত দুবছর যাবৎ কাজ করছিল। বিচারক ও তার স্ত্রী ২০১৮ সালের এপ্রিলে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাদেরকে প্রাথমিকভাবে ১২ মাসের জেল দেওয়া হয়েছিল। এরপর ওইবছরই জুনে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট কৌঁসুলিদের আপিলের ভিত্তিতে কারাদণ্ডের মেয়াদ বাড়িয়ে তিনবছর করে দেয়।
সে সময় আদালতের বিচারকরা বলেছিলেন, “বিচারক দম্পতি কোনো সহানুভূতি পেতে পারেন না, কারণ তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এবং জেনে বুঝে একজন নিরীহ, অসহায় শিশুকে মারাত্মকভাবে নির্যাতন করেছেন।”
তার ওপর নির্যাতনের ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গতমাসে। প্রতিবেশীরা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। মেয়েটির হাতে, পায়ে পোড়া দাগসহ শরীরে মারাত্মক জখমও দেখা গেছে।
২০১৬ সালে ১০ বছরের সেই মেয়েটিকে পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়ার পর আদালত খুররম দম্পতিকে ওই সাজা দেয়।
শিশু গৃহকর্মী নির্যতনের এ ঘটনায় পাকিস্তানে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। নির্যাতিত মেয়েটির ছবিও ভাইরাল হয়েছিল।