১০ বছরের কন্যাশিশুটি মাসে ২১ দিন বাবার হেফাজতে থাকবে বলে পারিবারিক আদালতের দেয়া আদেশ স্থগিত করে শিশুটি মায়ের কাছে থাকবে বলেই আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে বাবা চাইলে তার সন্তানের সাথে দেখা করতে পারবেন।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেন।
আদালতে শিশুটির মায়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফখরুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
সন্তানকে নিজ হেফাজতে পেতে করা এই মামলার বাদী-বিবাদীর বিয়ে হয় ২০০৭ সালে। এরপর ২০১১ সালে তাদের একটি কন্যাসন্তান হয়। সম্পর্কের টানাপোড়েনের একপর্যায়ে ২০১৯ সালের ১২ মে বাদী ও বিবাদীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তখন থেকেই শিশুটি তার মায়ের সাথেই থাকে। তবে শিশুটিকে নিজ হেফাজতে নিতে পারিবারিক আদালতে মামলা করেন বাবা।
গত ৩০ জুন ঢাকার পারিবারিক আদালত এই মামলার আদেশে শিশুটিকে মাসে ২১ দিন তার বাবার হেফাজতে এবং শুক্র ও শনিবার মায়ের হেফাজতে নেয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়া আদেশে বলা হয় বাবাই শিশুটির অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করবেন।
তবে পারিবারিক আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে শনিবার হাইকোর্টে আবেদন করেন শিশুটির মা। সাতদিনের বিধিনিষেধকালীন নিয়ম অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে এই আবেদনটি করা হয়। রোববার আবেদনটির শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ শিশুটির বিষয়ে পারিবারিক আদালতের দেওয়া আদেশ ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেন। এই আদেশের ফলে শিশুটি তার মায়ের কাছে থাকবে। আর বাবা চাইলে সন্তানের সাথে দেখা করতে পারবে বলে জানান আইনজীবী।