চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শিল্পের মতো কৃষিঋণেও পুনঃতফসিল সুবিধা পাচ্ছেন কৃষক

শিল্পের মতো কৃষিঋণেও পুনঃতফসিল সুবিধা পাচ্ছেন কৃষক। কৃষি বাজেট, কৃষকের বাজেট আলোচনার সুপারিশ হাতে পেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ডক্টর আতিউর রহমান কৃষকের এ সুবিধার কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, কৃষির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুবিধা হলো, কোনো ধরনের ডাউন পেমেন্ট ছাড়াই নতুন ঋণও দিতে পারে ব্যাংক।

যুগপূর্তির পথে চ্যানেল আইয়ের হৃদয়ে মাটি ও মানুষের বাজেট বিষয়ক কার্যক্রম, কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট। তৃণমূলের কৃষককে বাজেট সম্পর্কে সচেতন করতে প্রতি বছরই নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে কৃষকের সরাসরি যোগাযোগের আয়োজন করা হয়। টাঙ্গাইল, পঞ্চগড় এবং খুলনার কৃষকের সঙ্গে মাঠের আলোচনায় কৃষির নানা সমস্যার মাঝে এ বছর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কৃষকের উদ্বেগ ব্যাংক ঋণ নিয়ে।

একজন কৃষক বলেন, আড়াই লাখ টাকা ঋণ নিতে আমাকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়া লাগছে। অন্য একজন বলেন, কৃষি ঋণ যারা নেয়, পাঁচ হাজার টাকা বুনিয়াদে তার বডি ওয়ারেন্ট হয়। অথচ যারা বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা লুট করছে তাদের বেলায় এই ওয়ারেন্ট হয় না।

কৃষকের সমস্যার সাতকাহনে পুরো দেশেরই কৃষির একটা চিত্র তুলে ধরা হয় বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের কাছে। কৃষিবান্ধব গভর্নর অবশ্য প্রান্তজনের অর্থনীতিবিদ হিসেবে নিজেও কৃষি বাজেট আলোচনায় অতিথি হয়েছেন। কৃষিঋণ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বড় কর্তারা তাই কৃষকের অভিযোগ আমলে না নেওয়ার চেষ্টায় সফল হননি মোটেই।

হয়রানি প্রসঙ্গে কর্মকর্তাদের বিতর্ক-তর্ক বাড়তে না দিয়ে কৃষকের হয়রানি কমাতে আরো সতর্ক হওয়ার তাগিদ দেন গভর্নর। ডক্টর আতিউর রহমান বলেন, কৃষকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে, কোনো কৃষকের কাছ থেকে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে এটি যদি কেউ প্রমাণ করে দিতে পারেন তাহলে সেই ব্যাংকের বিরুদ্ধে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

কৃষি বাজেট, কৃষকের বাজেট আলোচনার উদ্যোক্তা শাইখ সিরাজ হয়রানি কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আন্তরিকতার প্রশংসা করেন। তবে প্রকৃত চিত্র জানতে কর্মকর্তাদের মাঝে মাঝে মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

শাইখ সিরাজ বলেন, আমরা কি বলবো। তাদের এগুলো পুনঃতফসিল করা হবে, মওকুফ করা হবে না কি বলবো।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পল্লীঋণ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কৃষকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা না করার নির্দেশনা রয়েছে। এমনকি আগের মামলা আদালতের বাইরে গ্রাহক-ব্যাংক সম্পর্কের ভিত্তিতে মিটিয়ে ফেলার নির্দেশও দেয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।