আগামী ১৫ই ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের সব টেলিভিশন চ্যানেলে ডাবিং করা অনুষ্ঠান সম্প্রচার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন শিল্পী-কলাকুশলীরা।
সমাবেশে শিল্পী-কলাকুশলীর পক্ষ থেকে এফটিপিও’র সভাপতি নাট্যকার মামুনুর রশীদ বলেন, ‘যদি কোনো চ্যানেলে ১৫ ডিসেম্বরের পর একটি ডাবিং সিরিয়াল চলে তাহলে আমরা সেই চ্যানেলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেব। ১৬ ডিসেম্বর আমরা বাংলাদেশ ডাবিংমুক্ত টেলিভিশন চাই।’
আর সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেসব দাবি রয়েছে তা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পূরণ করার অাল্টিমেটাম দেয়া হয়। দাবি না মানলে ১লা জানুয়ারি থেকে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলার কথাও জানানো হয় এ কর্মসূচিতে।
টেলিভিশন শিল্পী ও কলাকুশলীদের উদ্দেশ্যে মামুনুর রশীদ আরো বলেন, আমরা শিল্পীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। সবার চোখে-মুখে একই রকম উদ্দীপনা কাজ করছে। সবার চোখে আশা ও স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু এ আশা যেন ভঙ্গ না হয়। যদি কোনো চ্যানেল বা কর্তৃপক্ষ আমাদের একজন কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম ব্যবস্থা নেয় বা ব্ল্যাকলিস্ট করে; তাহলে আমরা এখানে যারা রয়েছি প্রত্যেকেই তাদের পাশে দাঁড়াবো।
বুধবার বাংলাদেশের টেলিভিশন শিল্পে বিদ্যমান সংকটের উত্তরণে ‘শিল্পে বাঁচি শিল্প বাঁচাই’ এই স্লোগানে শিল্পী কলাকুশলীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করে ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও)।
সকাল দশটা থেকে শুরু হওয়া মহাসমাবেশ চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। এতে উপস্থিত ছিলেন, অভিনয়শিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম, ড. ইনামুল হক, জাহিদ হাসান, তৌকির আহমেদ, আনিসুর রহমান মিলন, শহীদুজ্জামান সেলিম, আজিজুল হাকিম, মাহফুজ আহমেদ, তারিন, দীপা খন্দকার, তানভীন সুইটি, চয়নিকা চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, শাহনাজ খুশি, ফজলুর রহমান বাবু, আ খ ম হাসান, বন্যা মির্জা, মাজনুন মিজান, মীর সাব্বির, ফারহানা মিলি, রিয়াজ, পূর্ণিমা, রওনক হাসান, মৌসুমি হামিদসহ অসংখ্য শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি।