চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

শিল্পকলায় ‘হাছনজানের নাও’ এর উদ্বোধন

প্রাঙ্গণেমোর এর ১৩তম মঞ্চ প্রযোজনা

নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোর এর ১৩ তম প্রযোজনা ‘হাছনজানের নাও’ এর উদ্বোধনী মঞ্চ প্রদর্শনী শুক্রবার সন্ধ্যায়। শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে নাটকটি। এর আগে ১৯ এপ্রিল নাটকটির কারিগরি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায়।

মরমী গীতিকবি হাছনরাজাকে নিয়ে একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক শাকুর মজিদের লেখা ও অনন্ত হীরার নির্দেশনায় নাটকটি মঞ্চে আনছে প্রাঙ্গণেমোর। এটি মঞ্চের জন্য লেখা শাকুর মজিদের দ্বিতীয় নাটক। এর আগে ২০১০ সালে তার লেখা ‘মহাজনের নাও’ মঞ্চে আনে সুবচন।

অর্থ, বেহিসাবি সম্পদ আর ক্ষমতার দাপটে বেপোরোয়া জীবন যাপনে অভ্যস্থ হয়ে পড়েন হাছন রাজা (১৮৫৪-১৯২২)। তিনি ছিলেন সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, রামপাশা, লক্ষণ শ্রী আর সিলেটের একাংশ নিয়ে পাঁচ লাখ বিঘার বিশাল অঞ্চলের জমিদার। বাবা-মার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সুত্রে মেলে এই বিশাল জমিদারী। জাগতিক লোভ লালসা, ক্ষমতায়ন, জবরদখল করেও তিনি তার প্রতিপত্তি বাড়ানোর কাজে প্রবৃত্ত ছিলেন। কিন্তু এক সময় তার ভেতরের ভ্রান্তি ঘুচে যায়। মধ্য পঞ্চাশে এসে তিনি ভিন্ন এক মানুষে পরিণত হন। তার বোধহয় যে এ জগত সংসারের সব অনাচারের মূলে আছে অতিরিক্ত সম্পদ।

কিছু দিনের জন্য অতিথি হয়ে আসা মানুষেরা আসলে মহাশক্তির কাছে একেবারে নশ্বর। তিনি তার সম্পদ জনকল্যাণের জন্য উইল করে দিয়ে কয়েকজন সঙ্গিনীকে নিয়ে হাওরে হাওরে ভাসতে থাকেন। আর এর মধ্যে খুঁজতে থাকেন সেই মহা পরাক্রমশীল স্রষ্টাকে।

সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজতে খুঁজতে এক সময় আবিষ্কার করেন, তার নিজের মধ্যেই তার বাস। তার যে পিয়ারীকে সবাই হাছনজান বলে জানে, সেই আসলে হাছন রাজা। সেই হাছন রাজাকে নিয়ে টানা দুই দিনের মঞ্চায়ন দিয়ে মঞ্চে আসছে নতুন নাটক ‘হাছনজানের রাজা’।

নতুন বছরের প্রথম দিন দলটির হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পাণ্ডুলিপি তুলে দেন লেখক শাকুর মজিদ। তারপর শুরু হয় পাঠ এবং অনুশীলন।

‘হাছনরাজার নাও’ এর অনুশীলন দৃশ্য

‘হাছনজানের রাজা’ নাটকটিতে অভিনয় করেছেন রামিজ রাজু, আউয়াল রেজা, মাইনুল তাওহীদ, সাগর রায়, শুভেচ্ছা রহমান, সবুক্তগীন শুভ, জুয়েল রানা, আশা, প্রকৃতি, প্রীতি, সুজয়, নীরু, সুমন, বাঁধন ও রুমা। নাটকের মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন ফয়েজ জহির, সংগীত পরামর্শক হাছন রাজার গানের জনপ্রিয় শিল্পী সেলিম চৌধুরী, সঙ্গীত পরিকল্পনা রামিজ রাজু, আলোক পরামর্শক বাংলাদেশের প্রবীন আলোক পরিকল্পক ঠান্ডু রায়হান, আলোক পরিকল্পনা তৌফিক আজীম রবিন এবং পোশাক পরিকল্পনা করেছেন নূনা আফরোজ।