ঈদকে কেন্দ্র করে লকডাউন শিথিলের ৬ষ্ঠ দিনেও বৃষ্টি উপেক্ষা করে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার ঘরমুখী মানুষের ভিড় রয়েছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হয়ে ফেরি ও লঞ্চে পদ্মা পারি দিচ্ছে। ফেরিঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি আর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। ভোরবেলা থেকেই মটরসাইকেলে পূর্ণ দেখা গেছে ফেরিগুলো।
বিশেষ করে লঞ্চঘাটে সকাল থেকেই যাত্রীদের গাদাগাদি। লঞ্চে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও আজও অধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ও যাত্রীবাহী গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
পদ্মার তীব্রস্রোত ও গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় অবস্থান করছে ৫ শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক।
এছাড়া ঘাটের অভিমুুখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের প্রায় ১০ কিঃমিঃ এলাকাজুড়ে পারাপারের অপেক্ষায় শতশত পণ্যবাহী ট্রাক।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি ও ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে ৫ শতাধিক যানবাহন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল যানবাহন পারাপার করা হবে। তবে সকাল থেকে যাত্রী এবং মোটরসাইকেলের চাপ রয়েছে ফেরিগুলোতে।