খুব শিগগিরই স্বর্ণ আমদানি নীতিমালা প্রস্তুত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু।
মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার টিসিবি ভবনে বাণিজ্য সংগঠনের কার্যক্রমের উপর আয়োজিত গণশুনানিতে তিনি এ কথা জানান।
শুভাশীষ বসু বলেন, বাংলাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়িররা বিভিন্নভাবে বিদেশ থেকে স্বর্ণ ও ডায়মন্ড জাতীয় পণ্য আমদানি করে। সেগুলো দিয়ে গহনা তৈরি করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। এছাড়া এ খাতে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে কয়েক লাখ পরিবার। কিন্তু স্বর্ণ আমদানির নীতিমালা এখনও নেই। তাই শিগগিরই নীতিমালা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন দিয়ে এখনও চলছে বাংলাদেশ। আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে কোম্পানি আইন পরিবর্তন করা হবে।
শুনানিতে অংশ নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা বলেন, একই ধরনের ব্যবসায় একাধিক নাম নিয়ে সংগঠন করা হয়। এটি বন্ধ করা দরকার। এছাড়া কোনো কোনো সংগঠনে বছরের পর বছর একই কমিটি দিয়ে চলছে। কয় বছর পর কমিটি পুনর্গঠন হবে। নির্বাচন পদ্ধতি কি হবে- এসব বিষয়ে নিয়ম বেঁধে দেয়া উচিত।
কেউ কেউ অভিযোগ করে বলেছেন, নতুন কোনো সংগঠনের অনুমোদনের জন্য আবেদন করলে তা এফবিসিসিআই ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বছরের পর বছর পড়ে থাকে। অনুমোদন তো হয় না উল্টো হয়রানির শিকার হতে হয়। এগুলোর সুরাহা হওয়া উচিত।
বেসিসের সভাপতি আলমাস কবির এক ব্যবসায়ী প্রতিনিধির রেফারেন্স টেনে বলেন, কোনো কোনো সংগঠনের ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায় সংগঠনের সভাপতি বা সেক্রেটারির বাসা-ই হচ্ছে সংগঠনের অফিস। এ ধরনের অভিযোগ আমরাও শুনি। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা আরও বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় এসব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কাজে গিয়ে তা সময়মত সম্পন্ন করা যায় না। কারণ তাদের জনবল ও দক্ষতার অভাব রয়েছে।
এ সময় গার্মেন্টস অ্যাক্সেসোরিজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আগে তৈরি পোশাকের সহায়ক বোতাম, জীপার এই জাতীয় ক্ষুদ্র পণ্যগুলো আমদানি করা হতো। এতে অনেক অর্থ ও সময় ব্যয় হতো। কিন্তু বর্তমানে প্রায় ১৭শ ছোট ছোট কারখানায় এসব পণ্য উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিও করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এসব পণ্যের মান ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কোনো টেস্টিং ল্যাবরেটরি নেই। এটি বিবেচনা করার জন্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়।
পরে সভাপতির বক্তব্যে বাণিজ্য সংগঠনের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ওবায়দুল আজম বলেন, একই নামে দুটি সংগঠন নিবন্ধন চেয়েছিল। আমরা দুটোকেই বাতিল করেছি। সংগঠনগুলোর নিবন্ধনের জন্য এফবিসিসিআই থেকে অনুরোধ আসে। অতএব তাদেরও উচিত দেখেশুনে অনুমোদন দেয়া।
তবে অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি থাকলেও এ বিষয়ে কোনো বিষয়ে মন্তব্য করেননি।